ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ৫০% হাজিরা, টাস্ক ফোর্স গঠন, নবান্নের নির্দেশে ভোট- জমায়েত বন্ধের নিদান নেই

জেগে ঘুমানো যেতেই পারে, তবে তথ্য অস্বীকার করা হারাকিরির সামিল৷  গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাসের শিকার হয়েছেন ৭,৭১৩ জন৷ আতঙ্ক বৃদ্ধি করে ওই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের৷ ভয়ঙ্কর অবস্থা কলকাতার৷ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকাঠামো সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হলেও কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ হাজার৷

এখনই বাংলায় মহারাষ্ট্রের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না নবান্ন (Nabanna)৷ এখনই ফিরছেনা নাইট কারফিউ বা লকডাউনের (Lockdown) মতো প্রতিষেধকও৷ সংক্রমণ রুখতে একসঙ্গে ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (WB) ৷ উদ্দেশ্য একটাই, যে কোনওভাবে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের হার হ্রাস করা৷

একইসঙ্গে রাজ্য সরকার ৪ সদস্যের এক ‘টাস্ক-ফোর্স’ গঠন করেছে৷ এই টাস্ক-ফোর্সের মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশলকে৷ তাঁকে রাজ্যের ‘নোডাল অফিসার’-এর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া আছেন স্বাস্থ্য দফতরের OSD ডাঃ হরেকৃষ্ণ চন্দ্র, ডাঃ সোমা শীল ও ডাঃ অর্ণব রায়৷ এই টাস্ক ফোর্স মূলত রাজ্যের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতে ‘কোভিড-বেড’-এর বিষয়টি দেখবে ৷

নবান্নের এই নির্দেশিকায়ন নতুনকিছু নেই৷২০২০-এর অতিমারির সময় যা বলবৎ ছিলো, সেগুলিই ফিরিয়ে এনেছে রাজ্য প্রশাসন৷ যে সব জায়গায় সাধারণভাবে মানুষের জমায়েত হয়, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতেই এই চেষ্টা৷ তবে এই নির্দেশিকায় ভোটপ্রচারের লাগামহীন জমায়েত বন্ধ করার কোনও নিদান নেই৷

◾সাধারণ মানুষের জমায়েত হয় এমন স্থানে ও গণপরিবহণে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার, দূরত্ববিধি বজায় রাখা বাধ্যতামূলক৷ এ সংক্রান্ত বিধি যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে৷

 

◾ সরকারি, বেসরকারি সমস্ত অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে সপ্তাহে অন্তত একবার

স্যানিটাইজ করতে হবে৷

 

◾ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সহায়তায় সব ধরনের বাজারেও স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷

 

◾ দৈনিক বা সাপ্তাহিক বাজার, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে৷

 

◾ দোকান, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে, যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় না হয়৷

 

◾ রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে প্রতিদিন কাজ চালাতে হবে৷ কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অফিসে আনতে হবে৷

 

◾বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও যত বেশি সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার (WORK FROM HOME) ব্যবস্থা ফের চালু করতে হবে৷

 

◾ কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্তকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কর্মীরা মাস্ক পরেন, দূরত্ব বজায় রাখেন৷

 

◾শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁতে আগের মতোই প্রবেশ করা এবং বেরিয়ে যাওয়ার পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, থার্মাল স্ক্যানিং-এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক৷

 

◾ স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুলে আগের গাইডলাইন অনুসারেই সমস্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে৷

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই গাইডলাইন না মানলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে৷

Advt

Previous articleঅতিমারির রাশ টানতে ১০ টি দাওয়াই দিল নবান্ন
Next articleঅসমে বিজেপি সরকারের ডি-নোটিশ প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বাংলার জন্যও