আগেও একাধিকবার এই দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)। করোনা অতিমারি (corona pandemic) সংকটে কাজ হারানো দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant workers) অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা (money transfer) দিয়ে আর্থিক সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন আরও শক্তিশালী হয়ে আছড়ে পড়েছে ভারতে, যখন দেশে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখের গন্ডি টপকাচ্ছে, ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে একাধিক রাজ্য, তখন দ্বিতীয় দফায় কর্মহীন হয়ে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অর্থসাহায্য করার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানালেন রাহুল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, পরিযায়ীদের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করুক সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দিয়ে এই করোনা সংকটে তাদের কিছুটা আর্থিক সুরাহা করা হোক। শুধু বড় বড় প্রতিশ্রুতি না দিয়ে প্রয়োজনের সময় গরিব মানুষের পাশে থাকুক সরকার।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, করোনা নিয়ে সরাসরি ধনকড়কে চিঠি দিব্যেন্দু’র, ফের জল্পনা
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। দেশের চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের মত ফ্রন্টলাইন কোভিডযোদ্ধাদের জীবনবিমা প্রকল্পও বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর ফলে দেশজুড়ে প্রবল সংক্রমণ শুরুর পর এখন কোনও স্বাস্থ্যকর্মী কর্মরত অবস্থায় কোভিডে প্রাণ হারালে বিমা বাবদ তাঁর পরিবার কোনও আর্থিক সহায়তা পাবে না। কেন্দ্রের এইসব সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা শুরু হয়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস থাকলেও কেন তার জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি ছিল না, বা সঠিক সময়ে কেন তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় একাধিক রাজ্য ফের লকডাউনের পথে হাঁটায় দেশের কয়েক কোটি পরিযায়ী শ্রমিক নতুন করে জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়েছেন।