অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম মালদার ভোট পর্ব

মালদার রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী পায়েল খাতুন ও তার নির্বাচনী এজেন্টদের পুলিশি নির্যাতন এবং অন্যায় ভাবে দশজনকে থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে
রবিবার রাতে রতুয়া থানার ধর্ণায় বসেন রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী পায়েল খাতুন ও তার অনুগামীরা।ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ।
নির্দল প্রার্থী পায়েল খাতুনের অভিযোগ, সকাল থেকেই এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সমর মুখার্জি ও তার অনুগামীরা বিভিন্ন বুথে গিয়ে তার অনুগামী এবং এজেন্টদের ধমকেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশকেও কাঠ গড়ায় তুলেছেন প্রার্থী। জানিয়েছেন , তৃণমূল প্রার্থীর কথায় পুলিশ হয়রান করছে তার দলের কর্মী ও এজেন্ট দের।
যদিও পুলিশ ও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মালদার রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায়।
যতক্ষণ পর্যন্ত নির্দল প্রার্থী দের এজেন্ট দের নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হবে ততক্ষণ এই ধর্ণা বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন নির্দল প্রার্থী।
সোমবার ভোট পর্বের শুরুতেই গাজোল বিধানসভার পান্ডুয়া হাইস্কুলে ২০২,২০৩ নং বুথে বাইকে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো নিয়ে বিতর্ক।কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় সরিয়ে দেওয়া হয় বাইকটিকে। গাজোলের নয়াপাড়ায় রাম চন্দ্র সাহা বালিকা বিদ্যালয় ২১১ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী চিন্ময়় দেব বর্মনের বিরুদ্ধে ভোটের লাইনে প্রচারের অভিযোগ ওঠে। বাধা দেয় টিএমসির ব্লক নেতৃত্ব । অভিযোগ জানানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে। ভোটকেন্দ্রে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া টি শার্ট পড়ে ভোট দিতে যান ভোটার। ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বাংরুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৭ নম্বর বুথ। বিষয়টি এরপরই নজরে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের। তৎপরতার সাথে ওই ভোটারকে গেঞ্জি বদল করে ভোট দিতে আসার জন্য বাধ্য করা হয় ।
ভোট দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল সমর্থক দম্পতিকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । কংগ্রেস মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জখম দম্পতিকে আনা হয়েছে চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চাঁচল বিধানসভার ১৪৩ নম্বর বুথ খুরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা অমান্য করার অপরাধে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১৫ জনকে।
হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কের বিরুদ্ধে দলীয় উত্তরীয় পড়ে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ ওঠে।
৪৩ হবিবপুর বিধানসভার কানতুর্কা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে ১৯৩ নম্বর বুথে ভোট চলাকালীন পরিদর্শনে যান তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে। এই ঘটনায়, দলীয় উত্তরীয় পড়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। এই ঘটনায় নজর নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর। প্রার্থী ভোট কেন্দ্রে ঢোকার সময় তার আই কার্ড দেখে প্রবেশ করতে দিলেও গলায় মে তাঁর দলীয় উত্তরীয় রয়েছেন এ বিষয়ে নজর দেননি কেন্দ্র বাহিনী।
মালতিপুর বিধানসভা ৭৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে।
জখম ওই পোলিং এজেন্টের নাম শহিদুল ইসলাম। সবমিলিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম ছিল মালদার সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ ।

Advt

Previous articleপ্রাণবায়ু: করোনা আক্রান্ত স্বামীর মুখে মুখ রেখে শ্বাস দিয়ে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা স্ত্রীর
Next article‘এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফেরত নিন, সেফ হাউস করতে পারছি না’, কমিশনকে তোপ মমতার