ব্যর্থতা ফাঁস, তাই করোনা টিকা নিয়ে মমতার চিঠির জবাবই দেননি মোদি

১ মে থেকে সারা দেশে ১৮ বছরের উর্ধে ভারতবাসীকে করোনা টিকা (covid vaccine) দেওয়ার ঘোষণা করেই খালাস মোদি সরকার (modi govt)। অথচ রাজ্যে রাজ্যে ভ্যাকসিন যোগানের অপ্রতুলতার পরিস্থিতিতে ৪৫ বছরের উর্ধে ভ্যাকসিন প্রাপকদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এদিকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ ও ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে বৈষম্যের মীমাংসা না করেই নিজেদের ঘাড় থেকে টিকাকরণের যাবতীয় দায়দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে রাজ্যগুলির কাঁধে তা চাপাতে মরিয়া মোদি সরকার। এতদিন ধরে করোনা টিকাকরণের সাফল্য প্রচার করে একতরফা কৃতিত্ব নিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে, টিকা কূটনীতির মোড়কে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি করতে ব্যস্ত ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে কোভিডবিধি শিকেয় তুলে গত দুমাস ধরে বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের প্রচার ব্যস্ত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। তখন করোনার বিপদ ও তার জন্য আগাম পরিকাঠামো প্রস্তুতির কথা তাঁদের মনেও হয়নি। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে দেশের মানুষের জীবন যখন লন্ডভন্ড হতে বসেছে তখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সব দায়দায়িত্ব রাজ্যগুলির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-আজ থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন, পদ্ধতি জেনে নিন

তৃণমূল কংগ্রেসের (tmc) জাতীয় মুখপাত্র সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছেন, করোনা সংকট নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুরু থেকেই বাংলার সব মানুষকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য বিরোধী নেতারাও দেশবাসীর সার্বিক টিকাকরণের পক্ষে সওয়াল করছিলেন। অথচ তখন কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টায় ভ্যাকসিন মজুত ও বন্টনের সব দায়দায়িত্ব নিজেদের হাতে রেখেছিল মোদি সরকার। বিরোধীদের পরামর্শ কানেও তোলেনি। কিন্তু আজ ভ্যাকসিনের যোগান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির পর কেন্দ্র ভ্যাকসিন নির্মাতাদের থেকে তাদের নির্দিষ্ট করা দামে রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য করছে। কথায় কথায় এক দেশ এক নীতির কথা বলা মোদি সরকার এক দেশে টিকার নানা দাম কেন তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারছে না। চরম সংকটের মুহূর্তে রাজ্যগুলির কাঁধে বন্দুক রেখে কোভিড মোকাবিলায় নিজেদের নির্লজ্জ ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে মোদি সরকার। ডেরেকের অভিযোগ, যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে পারবে না বুঝে মমতার সর্বশেষ চিঠিরও জবাব দেননি প্রধানমন্ত্রী। অতিমারির জাতীয় বিপর্যয়ে রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষের জীবন নিয়ে কুৎসিত খেলায় নেমেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

Advt

Previous articleকরোনা কাড়ল আরেক সাহিত্যিককে, প্রয়াত অনীশ দেব
Next articleমোদির “আত্মনির্ভর ভারত”: মেলেনি শববাহী গাড়ি, বাইকেই মায়ের মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের পথে ছেলে