চাহিদা মেটাতে বারাসাত হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ । ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা । অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাতে হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীকে । এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলেছে । চাহিদার তুলনায় অক্সিজেনের জোগান কম থাকায় সমস্যায় হাসপাতালগুলি । পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে কলকাতা শহর, শহরতলি এবং জেলার বেশিরভাগ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । এবার সেই একই পথে হেঁটে বারাসত হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেজানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার থেকে বারাসত জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়েছে । এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে সেই কাজ । এরপর হাসপাতালের নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরাসরি পৌঁছে যাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে । এর ফলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরাও উপকৃত হবেন বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
বারাসত জেলা হাসপাতালে ৫০ বেডের কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে । সব বেড ভর্তি । কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেও করোনা আক্রান্তদের ভর্তি করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ । কমপক্ষে ৭০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন বারাসত হাসপাতালে । আক্রান্তদের অনেকেরই শ্বাসকষ্ট থাকায় অক্সিজেনের চাহিদা দ্রুত বেড়ে গিয়েছে । এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের জন্যও চাহিদা রয়েছে অক্সিজেনের । সব মিলিয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে । এই মুহূর্তে প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ২০০ সিলিন্ডার অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে । এতদিন বাইরের এজেন্সি দু’বেলা হাসপাতালে এসে অক্সিজেনের সিলিন্ডার দিয়ে যেত । কিন্তু ইদানিং করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ায় জোগানে কিছুটা হলেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে । এই সমস্যা মেটাতেই বারাসত জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ।

Advtআগামী সাতদিনের মধ্যে উৎপাদনও শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে ।
এছাড়া উৎপাদিত অক্সিজেন ভর্তি করা যাবে সিলিন্ডারেও । বি এবং ডি সিলিন্ডার বোঝাই অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হবে এই প্ল্যান্ট থেকে । বারাসত হাসপাতালের এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদিত হবে।
এই  বিষয়ে জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ সৌমাভ দত্ত জানিয়েছেন , যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বারাসত জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ চলছে । কয়েক দিনের মধ্যে অক্সিজেন উৎপাদনও শুরু হয়ে যাবে ৷ বারাসত জেলা হাসপাতাল ছাড়াও বনগাঁ, অশোকনগর, নৈহাটি, বরাহনগর, বলরাম হাসপাতাল এবং পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর তৈরি করবে অক্সিজেন প্ল্যান্ট ৷

Previous articleশুভেন্দুর ‘মুখের গ্রাস’ কাড়ার লক্ষ্যেই কি মুকুলের সহ-সভাপতি পদ ছাড়তে চাওয়ার ইঙ্গিত?
Next articleসাংসদ পদে ইস্তফা দিলে জেতা অসম্ভব, দিল্লির চাপে বিধায়ক- শপথ নিলেন না নিশীথ-জগন্নাথ