শুভেন্দুর ‘মুখের গ্রাস’ কাড়ার লক্ষ্যেই কি মুকুলের সহ-সভাপতি পদ ছাড়তে চাওয়ার ইঙ্গিত?

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান মুকুল রায়। বিজেপি মহলে এই খবর নিয়ে তুমুল চাপান-উতোর।

সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক মুকুল রায় শুক্রবারই বিধানসভায় শপথ নিয়েছেন। কোনও কথা বলেননি। বলেছেন, এখন নয় পরে বলব। যা বলার ডেকেই বলব। জল্পনা উস্কে সুব্রত বক্সির সঙ্গে ছোট্ট আলাচনা পর্বও সেরেছেন।

প্রশ্ন, মুকুল কী সত্যিই সহ সভাপতির পদ ছাড়ছেন? লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো এর আগেও তিনি যখন দলের সর্বভারতীয় পদ পেয়েছিলেন, তার আগে একটা দীর্ঘ জল্পনা পর্ব ছিল। অসন্তোষ, জল্পনা এবং পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার গল্প। আর তারপরেই মুকুলের সুহৃদ কৈলাশ বিজয়বর্গীর দৌরাত্মে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ।

আরও পড়ুন- ‘আমরা জানি জরুরি কোনটা’, Central Vista-র সমর্থনে নির্লজ্জ সাফাই মোদির মন্ত্রীর

এবার ভোটে জিতে বিধায়ক। কিন্তু বর্ষীয়ান মুকুল রায় আলোচনার কেন্দ্রে কার্যত নেই। আলোচনা শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরেই। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং এক সময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের তাই আঁতে লাগছে! এ প্রশ্নে আবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাঁড়িয়েছেন মুকুলের পাশে।

অন্যদিকে খবর, মুকুলের সঙ্গে তৃণমূলের অন্দরমহলের পুরনো অসমাপ্ত কথা আবার শুরু হয়েছে। মুকুল অবশ্য ভাবখানা এমন দেখাচ্ছেন যেন কোনও আলোচনারই সারবত্তা নেই।

একটি মহল বলছে আসলে, মুকুল জল মাপছেন। শুভেন্দু বিরোধী নেতা হওয়ার দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছেন। আর সেখানে ‘চোনা’ ফেলতেই নাকি মৌনী মুখ। যা বলার পরে বলব ‘ইতিকথা’। মুকুলের দলবদলের সম্ভাবনা যতই থাক না কেন, আপাতত মৌনতা শুভেন্দুর ‘মুখের গ্রাস’ কাড়ার জন্যেই, বলছে বিজেপির একটি মহল।

আরও পড়ুন- কিছু কোভিড বিধি মানলে তৃতীয় ঢেউ প্রতিহত করা সম্ভব: কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা

Advt

Previous articleবিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষণা করা হল ভারতীয় দল
Next articleচাহিদা মেটাতে বারাসাত হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট