শপথ নিয়েই ‘অশোকদা’র বাড়িতে শঙ্কর, পাহারায় বিজেপি নেতারা

বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়ে শিলিগুড়িতে নেমেই সোজা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন বিজেপির শঙ্কর ঘোষ।

হয়তো দুজনের মধ্যে অনেক কথাই হতে পারত। কিন্তু, বিজেপির এক জেলা নেতা আগাগোড়া শঙ্করবাবুর সঙ্গে ছিলেন। এমনকি, অশোক ভট্টাচার্য যখন শঙ্করকে বাইরের ঘরে না বসিয়ে ভেতরের ঘরে নিয়ে যান, তখনও বিজেপির জেলা নেতা ছায়ার মতো সেখানে ঢুকে বসে পড়েন। দুজনের মধ্যে সৌজন্য মূলক কুশল বিনিময় হয়। শঙ্করবাবু অশোকবাবুকে বই উপহার দেন। তার পরে শিলিগুড়ির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দু চার কথার পরে অশোকবাবুই ‘ঠিক আছে তা হলে’ বলে বুঝিয়ে দেন সাক্ষাতের সময় শেষ। শঙ্করবাবু পরে জানান, অশোকদার কাছে অনেক কিছু শিখেছি, উনি অভিভাবকের মতো শিখিয়েছেন। তা ভুলি কি করে!

আরও পড়ুন- নষ্ট হচ্ছে ভ্যাকসিন, টিকার অপচয় রোধে রাজ্যগুলিকে বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

ঘটনা হল, এই অশোকবাবুর বিরুদ্ধেই পরোক্ষে নানা অভিযোগ তুলে দলে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে টিকিট পেয়েছিলেন শঙ্কর। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এবং জিতলে শঙ্কর ভাল পদ, মন্ত্রিত্ব পাওয়ার গুঞ্জন কম ছিল না। কিন্তু, বিজেপি তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে, আগামী পাঁচ বছরে শঙ্কর ঘোষের পক্ষে শহরের জন্য কতটা কি করা সম্ভব তা তিনিও জানেন ও বোঝেন। সূত্র অনুযায়ী, তাই শঙ্কর ঘোষ হয়তো একান্তে বসে রাজনৈতিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিজেপি সূত্র বলছে, শঙ্করবাবু অশোকবাবুর বাড়ি যাবেন বলার পরে জেলার একজন নেতাকে সঙ্গে দেওয়া হয়।

এক মাস আগে যাঁকে তুলোধোনা করেছিলেন, ভোটে তাঁকে হারানোর পরে বাড়িতে দেখা করাটা রাজনৈতিক সৌজন্য বলে মনে করছেন নেতাদের অনেকেই। আদতে শুধুই সৌজন্য নাকি হাতে এখনও চে গুয়েভারার ট্যাটু থাকা শঙ্করের কি ফের দম নিতে কোনো কষ্ট শুরু হয়নি তো? সবে তো শুরু। সময়ই সব বলবে।

আরও পড়ুন- সন্তান তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় বাবা-মাকে মাতবরদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ;  আটক ২

Advt

Previous articleসন্তান তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় বাবা-মাকে মাতবরদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ;  আটক ২
Next article‘আমার পদত্যাগ নিয়ে কিছু বলা হলে, তা আজগুবি গল্প’, জল্পনা ওড়ালেন বিমান বসু