নারদে ববিদের চার্জশিটে সায়, টুইটে ঢাক পেটালেন ধনকড়

২০১৬ সালের নারদ- মামলায় সেই সময়ে মন্ত্রী থাকা ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)।

রবিবার রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার বিষয়ে রাজ্যপাল অনুমোদন দিয়েছেন।রাজভবন জানিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ ও ১৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারেই CBI- এর অনুরোধে সবুজ সংকেত দিয়েছেন রাজ্যপাল।

এই ৪ জনের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিলেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এবার প্রার্থী করেনি বিজেপি (BJP)। ওদিকে, সোমবার যে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে, সেখানে থাকছেন সুব্রত ও ফিরহাদ৷

আরও পড়ুন- ভারতে ‘করোনা বিস্ফোরণের’ কারণ ব্যাখ্যা করলেন হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন বিধানসভা তো শুরুই হয়নি, তাহলে তার আগে কোন এক্তিয়ারে বা আইনে এই অনুমতি দিতে পারেন রাজ্যপাল? এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে এদিন রাজভবন জানিয়েছে, বিধায়ক হিসেবে ওই ৪জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়নি। যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময়ে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। সেটাই বিবেচনা করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন- রবীন্দ্র জয়ন্তীতে ট্যুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাজ্যপালের, হিংসার ঘটনা নিয়ে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রীকে

পাশাপাশি এই প্রশ্নও উঠেছে, নারদাকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বাদ গেলেন কেন? তাঁর ক্ষেত্রেই বা কেন CBI-এর তরফে অনুমোদন চাওয়া হয়নি? CBI জানিয়েছে, এই মুহুর্তে শুভেন্দু বিধায়ক হলেও ঘটনার সময় তিনি সাংসদ ছিলেন৷ ফলে শুভেন্দুর বিষয়ে দরকার লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন।

CBI সূত্রে খবর, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৭ নম্বর ধারায় চার্জশিট পেশ করার জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তাতে সম্মতি (Prosecution Sanctioned) দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়৷

আরও পড়ুন- মন্ত্রিসভায় নতুনরা: অধিকারীগড়ে মন্ত্রী এবার অখিল, তালিকায় হুমায়ুন থেকে বীরবাহা

Advt

Previous articleমন্ত্রিসভায় নতুনরা: অধিকারীগড়ে মন্ত্রী এবার অখিল, তালিকায় হুমায়ুন থেকে বীরবাহা
Next articleঠান্ডাঘরে বসে যাই বলুন, শ্রমজীবী ক্যান্টিন চলবে