সাধনের আসাধ্য সাধন: দুই ঠাকুরের পরিচয়স্থলে ঠাকুর প্রণাম

সালটা ১৮৮৩। দিনটি ছিল ২রা মে। ফড়িয়াপুকুরে কাশীশ্বর মিত্তিরে বাড়িতে এসেছেন স্বয়ং ঠাকুর রামকৃষ্ণ। তাঁকে পিয়ানো বাজিয়ে গান শোনাচ্ছেন বছর বাইশের এক কবি। প্রাণকৃষ্ণ আবেশে চোখ বন্ধ করে রেখেছেন। গান শেষ হলে রামকৃষ্ণ চোখ খুললেন। বললেন, ‘আঃ, কি শান্তি’।

গান যিনি শোনাচ্ছিলেন তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দুই ঠাকুরই মুগ্ধ বিস্ময়ে একে অপরের দিকে অপলক তাকিয়ে। একজন নিরাকার ব্রহ্মের পুজারী, আর অন্যজন সাকার ভবতারিনীর।

সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে ফড়িয়াপুকুরে সেই বাড়ির সামনে রবীন্দ্রনাথের ১৬০ তম জন্মদিন পালনে কবি প্রণামের আয়োজন করেছিলেন বিধানসভায় ন’বার নির্বাচিত, বর্তমানে মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও সাংবাদিক কুণাল ঘোষ, সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাশীষ কুমার, সাধন-জায়া সুপ্তি পাণ্ডে, দেব সাহিত্য কুটীরের অন্যতম কর্ণধার রূপা মজুমদার সহ বিশিষ্টরা।

কুণাল বলেন, আজ বিশ্বজুড়ে কবিগুরুর জন্মদিন পালন হচ্ছে। কিন্তু দুই ঠাকুরের সেই ইতিহাসিক পরিচয়স্থলে কবির জন্মদিন পালন অভিনব ঘটনা। এইজন্য আমি সাধন পাণ্ডেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠান শেষে সাধন পাণ্ডে বলেন, ভেদাভেদ ভুলে শান্তিপূর্ণভাবে কবির আদর্শে দীক্ষিত হয়ে এখন মানুষের জন্য কাজ করার সময়। আর এই ঐতিহাসিক বাড়িটিকে মানুষের কাছে মাইলস্টোন করে রাখতে সবরকমের উদ্যোগ তিনি নেবেন, তা জানিয়ে দেন সাধন।

আরও পড়ুন- ঠান্ডাঘরে বসে যাই বলুন, শ্রমজীবী ক্যান্টিন চলবে

Advt

Previous articleআপাতত বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া; রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পরিবার
Next articleকরোনা টিকায় কর ছাড়ের আর্জি: ১৬ টি টুইটে মমতাকে জবাব নির্মলার