শক্তি বাড়াচ্ছে ‘যশ’, ছুটি বাতিল পুরসভা, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের, সাইক্লোন মোকাবিলায় কতটা তৈরি বাংলা?

ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে ‘যশ’। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিয়েছে এই সাইক্লোন। ২৬ মে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে আগামী এক সপ্তাহের জন্য সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। আগামী সোমবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়ে দিলেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান পল্লব দাস।

⏺ পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় শুরু হয়েছে এনডিআরএফের নজরদারি।

⏺ বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

⏺ ২৩ মে থেকে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। দিঘা, শঙ্করপুর, সুন্দরবন সর্বত্রই চলছে মাইকিং।

⏺ দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক এলাকাতে সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করছে প্রশাসন।

⏺ সাইক্লোন সেন্টার গুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে রাজ্য সরকার। ত্রাণ শিবির গুলোকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। শিবিরে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার , পলিথিন, পানীয় জল, ওষুধ, শিশু খাদ্য, ওআরএস, জামা কাপড় মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

⏺ বিপর্যয় মোকাবিলায় ও বিদ্যুৎ পরিষেবায় রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের তরফে বিভিন্ন জেলায় গ্যাঙ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গ্যাঙে ৬-৭ জন বিদ্যুৎকর্মী থাকবেন। কলকাতা পুরসভা এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে গ্যাঙ রাখা হবে।

আরও পড়ুন-করোনা সংক্রান্ত মামলায় অবাস্তব নির্দেশ বন্ধ করুক হাইকোর্ট, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

⏺ ২৫ মে থেকে বিদ্যুৎ ভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর 8900793503 ও 8900893504। ২৫ মে থেকে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

⏺ ঝড়ের জেরে গাছ পড়ে গেলে তা যাতে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া যায় তার জন্যও প্রস্তুত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। একাধিক পেট্রোল চালিত কাটার কেনা হয়েছে এর জন্য। এ ছাড়াও পুরসভার তরফে ভাড়া নেওয়া হয়েছে জেসিবি মেশিন। সেফ হোমে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা বজায় থাকে তার জন্য ইতিমধ্যে জেনারেটর লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল-সহ অন্যান্য জায়গায় যেখানে ভ্যাকসিন রয়েছে, সেগুলি যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক।

⏺ যশের শক্তি এবং তাণ্ডবের প্রাবল্য কতটা সে ব্যাপারে এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে পারছেন না আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। তাই সম্ভাব্য সব রকম বিপদ আঁচ করেই জেলা প্রশাসন এবং কলকাতা পুরসভাকে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে নবান্ন।

⏺ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যশের প্রতিমুহূর্তের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখছে নবান্ন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামতে প্রস্তুত নবান্ন সহ জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন বলছে, প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ তারিখ থেকে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advt

Previous articleকরোনা পরিস্থিতিতে ভবানীভবনে যাবেন না, ভার্চুয়াল মাধ্যম চান অর্জুন সিং
Next articleলাভলিকে অশালীন মেসেজ করে শ্রীঘরে বিজেপি কর্মী