কাশ্মীরের ছকে বাংলাকে ৩ খন্ড করার ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরক দাবি হিন্দি দৈনিকের

বাংলার বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্ত শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার(BJP government)। সম্প্রতি বাংলার স্বার্থবিরোধী এই চক্রান্তের কথা তুলে ধরে এক প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এনেছে সর্বভারতীয় এক হিন্দি দৈনিক(Hindi media)। বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার দিল্লির ঠাণ্ডা ঘরে বসে চলছে পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।

সম্প্রতি ‘দৈনিক ভাস্কর’ নামক এক সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিক বিজেপির ভয়ঙ্কর এই চক্রান্তের তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। ওই সংবাদ-মাধ্যমের প্রতিবেদনে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে হয়ত জম্মু কাশ্মীরের(Jammu Kashmir) ছকে পশ্চিমবঙ্গকেও তিন ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা চলছে। আর এই ৩ ভাগের দক্ষিণ অংশ হবে পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরভাগে শিলিগুড়ি করিডোর ও দার্জিলিংকে আলাদা করে গোর্খাল্যান্ড(Gorkhaland) নামক আলাদা রাজ্য তৈরি করা হতে পারে। এবং মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের এলাকা গুলিকে একত্রিত করে করা হতে পারে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বাংলা দখলে মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার এই ছকেই বাংলার শাসনভার হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:মানুষের পাশে: ভাঙন কবলিত ডায়মন্ড হারবার পরিদর্শন অভিষেকের

সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদ মাধ্যম ‘দৈনিক ভাস্কর’ পত্রিকায় ‘পাওয়ার গ্যালারী’ নামক বিভাগে এমনটাই দাবি করেছেন ডাঃ ভরত আগরওয়াল নামের এক বিশিষ্ট সাংবাদিক। এরপরই এই প্রতিবেদন রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যদিও এই জল্পনা একেবারে ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মোদি-শাহরা ভালো মত জানেন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যদি ভারতে থেকে থাকেন তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলেই একুশের নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপির কাছে বাংলা দখল শুরু থেকেই বাড়তি প্রাধান্য পেয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মোদী-অমিত শাহদের বঙ্গ দলের মরিয়া চেষ্টা নজর কেড়েছে গোটা দেশের। যদিও এত কিছুর পরও অধরাই থেকে গিয়েছে সাফল্য। এহেন অবস্থায় ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাকে হাতিয়ার করে তলে তলে চলছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ষড়যন্ত্র।

যদিও সে প্রচেষ্টা যে খুব একটা সফল হবে না এটা বেশ বুঝতে পারছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বরা। তা সত্ত্বেও বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বঙ্গ বিজেপিতো বটেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে ময়দানে নামানো হয়েছে খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও। এই অবস্থায় দৈনিক ভাস্করের এই প্রতিবেদন একেবারেই ফেলে দেওয়ার মতো বিষয় নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত, দৈনিক ভাস্কর সংবাদপত্রের এই বিভাগে জল্পনা চলছে বা সম্ভাবনা রয়েছে এই ধরনের প্রতিবেদনই মূলত প্রকাশ করা হয়। তবে ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্র বিষয়ক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে সব মহলেই।

Advt

Previous articleপূর্ব রেলের প্রথম ‘গ্রিন স্টেশনে’র শিরোপা পেল আসানসোল
Next articleফের শুক্রবার শপথগ্রহণ, এবার ২ মন্ত্রী-সহ ১২ বিধায়ক