দুর্গত এলাকায় ছুটে গেলেন অভিষেক, জোর পেলেন বিপন্নরা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আর ভরা কোটালের দাপটে ভেঙেছে বাঁধ। প্লাবিত ডায়মন্ড হারবারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঝড় থামতেই সেই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গেলেন তৃণমূল (Tmc) সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Benarjee)। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কথা বললেন ত্রাণ শিবিরে থাকা দুর্গতদের সঙ্গে। ভরসা পেলেন বিপন্নরা।

প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যেকোনো পরিস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবারের মানুষের পাশে থাকবেন। কথা রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবার করোনাকালে যেমন কমিউনিটি কিচেন করে এলাকার মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছেছেন। তেমন বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের পরেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ইয়াসের (Yaas)জেরে জলমগ্ন ডায়মন্ড হারবারের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিকেলে ১ নম্বর ওয়ার্ডের নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন অভিষেক। পাশাপাশি, ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজ ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুলের ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই পরিস্থিতিতে তাঁকে পাশে পেয়ে আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকের নুরপুর শ্রীপল বেরিয়া গ্রামের সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ। সকালে ডায়মন্ড হারবারের নুরপুরে সিংহল বেরিয়া গ্রামের হুগলি নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে এলাকায়। এই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গ্রাম থেকে মানুষজনকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
দ্রুত সম্ভব বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগায় প্রশাসন।

প্লাবিত অঞ্চল থেকে ফিরে নিজের ফেসবুক ওয়ালে অভিষেক লেখেন,
“ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন। রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দপ্তরগুলি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বিপন্মুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি মানুষের কাছে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে চলার ও প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাই। সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমেই আমরা আবারও এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে সাধারণ জীবনে ফিরব। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসেবে আমি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই অঞ্চলের মানুষের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করব। আজ ডায়মন্ড হারবার বয়েজ ও ফকিরচাঁদ কলেজ, পারুলিয়া, নূরপুর হাই মাদ্রাসা, কালিপুর উত্তর ও রাজীবপুর ফ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করে আশ্রিতদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও পারুলিয়া, শিফলবেড়িয়া ও আছিপুর সিদ্ধেশ্বরী ঘাট রোডের ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ অঞ্চল পরিদর্শনের কিছু মুহূর্ত।”

ভোট পেতে প্রতিশ্রুতি দেন নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু ভোটের পরে তাঁদের অনেককেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখানো বিজেপির বিধায়কদের করোনা আক্রান্ত বা ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা পাত্তাই পাওয়া যাচ্ছে না। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন ডায়মন্ড হারবারের মানুষের পাশে তিনি আছেন। আর যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি তার কথা প্রমাণ করছেন। একজন সাংসদকে দুর্যোগের দিনে এভাবে পাশে পেয়ে আপ্লুত ডায়মন্ড হারবারের মানুষ। যাঁরা ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন তাঁরা ভরসা পাচ্ছেন। তাঁদের একটাই কথা, “আমাদের পাশে অভিষেক আছে”।

Advt

Previous articleএকটু ভালো আছেন বুদ্ধবাবু, খেয়েছেন, কথা বলছেন, জ্ঞানও রয়েছে
Next article“ভুল করে ফেলেছি”, বিজেপি ছেড়ে এবার তৃণমূলে ফিরতে চান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী