নারদ-মামলায় আজ হাইকোর্টে ৪ অভিযুক্তের জামিন নিয়ে শুনানি

হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে নারদ-মামলায় গৃহবন্দি চার নেতা-মন্ত্রীর
স্বস্তি মেলেনি৷ এই মামলার শুনানি অসমাপ্ত থাকে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আজ, শুক্রবার। ফলে বৃহস্পতিবারও ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দিই থাকতে হয়েছে৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রথমেই জামিন নিয়ে শুনানি হবে, তার পর এই মামলার অন্য বিষয়ে শুনানি চলবে৷ আইনি মহলের ধারনা, শুক্রবার হয়তো জামিনের বিষয়ে কোনও সুরাহা হতে পারে। বৃহত্তর বেঞ্চে আজও যথারীতি থাকবেন ভারপ্রাপ্ত প্ৰধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ৷

সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার৷ CBI-এর দাখিল করা ‘মামলা স্থানান্তর’-এর আবেদনের শুনানি হয় ওইদিন৷ ওই শুনানিতেই অভিযুক্তদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বিস্ফোরক সওয়াল করে বলেন, “মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন, ডাকা’ই বা হচ্ছে না কেন ? ওরা তৃণমূল কংগ্রেস করে না বলে ?” CBI কৌঁসুলি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে লক্ষ্য করেই শুধু নয়, কল্যাণ একইসঙ্গে পাঁচ বিচারপতির উদ্দেশ্যেও প্রশ্ন করেন, ‘‘শুভেন্দু আর মুকুলকে ডাকা হচ্ছে না কেন? ওঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে?’’ কল্যাণ বলেন, “এ কেমন কথা, শুনানি দিনের পর দিন ধরে চলবে। আর আমার মক্কেলরা হেফাজতে থাকবেন?” CBI-এর কৌঁসুলি তথা সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা শুনানির শুরু থেকেই প্রশ্ন তোলেন, কেন এই মামলা স্থানান্তর করা হবে না? তিনি বলে, “গত ১৭ মে যেভাবে বিচার ব্যবস্থায় নাক গলানো হলো, তা কি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে জনতার বিশ্বাসের উপর আঘাত হানবে না? এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এখানেই আটকাতে না পারলে বহু রাজ্যেই পর পর ঘটবে।”

বিচারপতিরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, “দেশে এর আগেও কোনও গ্রেফতারি নিয়ে জনবিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিচারক ওই বিক্ষোভে প্রভাবিত হয়েছে, এমন কোনও তথ্য বা প্রমান পেশ করা হয়নি৷ ফলে এই নিয়ে কথা বলা গঠনমূলক কাজ নয়। বিচারপতিরা বলেন, সাধারণ মানুষ আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু কাজে করে। তবে আবেগ যেমনই হোক, আইন তা কখনই অনুমোদন করে না। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ- বিক্ষোভ বিচারব্যবস্থাকে কখনই প্রভাবিত করতে পারে না৷”

শুক্রবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানির দিকেই নজর থাকবে সবার৷ নজর থাকবে, চার অভিযুক্ত শুক্রবার জামিন পান কি’না, সেদিকেও৷

আরও পড়ুন- স্বস্তি! রাজ্যে একধাক্কায় অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কমল মৃত্যুও


Advt

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleসবংয়ে করোনা আক্রান্তদের পাশাপাশি ইয়াস ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া