৩০মে। বিকেল ৪.৫০ মিনিটে নবান্নে ঢুকলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। বসলেন। সামান্য কাজ করলেন। সঙ্গে জল্পনা উস্কে দিলেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্ত্রীকে নিয়ে অফিসিয়াল রিটায়ারমেন্টের আগের দিন মুখ্যসচিব তাঁর চেম্বারে আসতে পারেন, বসতেই পারেন। এর মধ্যে খবর খোঁজার কী আছে? আবার অনেকে বলছেন, এটা কী কোনও ইঙ্গিত? আলাপনের আমলা জীবনের শেষ দিন ৩১ মে তারিখ। বহু কাজ আছে। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে। তখন স্ত্রীকে নিয়ে আসা বেমানান, কথাও বলা যাবে না। সেই কারণেই কি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসে স্মৃতির অতলে তলিয়ে ফেলে আসা বছরগুলিকে দেখার চেষ্টা? সেটা হলে তা গড়পড়তা রোম্যান্টিক বাঙালির চরিত্র বলেই মেনে নেওয়া যায়।
কিন্তু একটি মহল বলছে, দিল্লির ডাকে সাড়া না দিয়ে ৩১শে কাজ শেষ করে কি তবে আলাপন পদত্যাগই করবেন? তারপর অন্যভাবে, অন্যপদে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালনে নামবেন। তাতে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না।
এই তত্ত্বকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর যাচ্ছে না বলেই ছুটির দিনে স্ত্রী সোনালীকে নিয়ে মুখ্যসচিবের নবান্নে আসাটা কিছুটা প্রতীকী হয়ে গিয়েছে।
অপেক্ষা ২৪ ঘন্টার।
আরও পড়ুন- তৃণমূলকেই বিজেপি- বিরোধী প্রধান শক্তি মেনেছে মানুষ, তাই এই পরাজয়, স্বীকার করলো সিপিএম