মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরে, শোভনদেব খড়দায় প্রার্থী, তাহলে অর্থমন্ত্রী কোন কেন্দ্রে লড়বেন?

মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন। ভবানীপুরে প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন, তাহলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন?

রাজ্যে উপনির্বাচন হবে ৬টি কেন্দ্রে। ভবানীপুর, খড়দা, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, দিনহাটা ও শান্তিপুরে। অমিত মিত্র অসুস্থ হওয়ায় ভার্চুয়ালে শপথ নিয়েছেন। কার্যত বাড়ির বাইরেই বের হচ্ছেন না। বাড়ি থেকে আগে কাজ করেছেন, এখনও করছেন। এক সময় ধারণা হয়েছিল, খড়দা কেন্দ্র বেশি দূর নয়, তাই অমিতবাবু হয়তো সেখান থেকেই লড়াই করবেন। কিন্তু শোভনদেব এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ায় সেই সম্ভবনাও রইল না। অসুস্থ অর্থমন্ত্রী নিশ্চিত শহর থেকে দূরে বাকি চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী হতে যাবেন না। তাহলে? সেটাই এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, মুখ্যমন্ত্রী বিধান পরিষদ তৈরির জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সেটা তৈরি হয়ে গেলেই অমিত মিত্রকে হয়তো সেখান থেকে জিতিয়ে আনবেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও দুটি প্রশ্ন রয়েছে, ১. বিধান পরিষদ তৈরির প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ। ৬ মাসের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা নিতান্তই কম। ২. কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এই মুহূর্তে যে তিক্ততার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে বিধান পরিষদের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাতিল হতে পারে অথবা ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে কেন্দ্রের তরফে।

অন্যদিকে অক্টোবরের শেষে ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে অর্থমন্ত্রীর। তার মধ্যে অমিত মিত্রকে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। অর্থাৎ ভোট তার মধ্যেই করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি দেখিয়ে কমিশন ভোট করতে যদি অস্বীকার করে তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। আইন বাঁচাতে অমিত মিত্রকে পদত্যাগ করে ফের শপথ নিতে হতে পারে। আর সেই পথে যদি রাজ্য না যায়, তাহলে অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। এমনও হতে পারে, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী অর্থ দফতর নিজের হাতে রেখে নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবেন।

ফলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

Advt

Previous articleজগদ্দল জুটমিল খোলার দাবিতে অবরোধ বিক্ষোভে সামিল কয়েক হাজার শ্রমিক
Next articleঅপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগে ভাঙড়ে ধৃত দুই প্রভাবশালী আইএসফ নেতা