মেডিকেল কলেজ থেকে উধাও করোনার জীবনদায়ী ১০ লক্ষ টাকার ইঞ্জেকশন!

বাংলায় সংক্রমণের হার কিছুটা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের কম মানুষ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৪২৪ জন। করোনাভাইরাসে প্রাণ গিয়েছে ১৩৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭, ৭২২ জন। সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশের বেশি।

এরই মাঝে মাথাচাড়া দিয়েছে মারণ ভাইরাস-ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অন্যতম কোভিড হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন ২৬টি টোসিলিজুমাব। যার দাম প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। অভিযোগের তীর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের দিকে।

অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে কর্তব্যরত এক নার্সের কাছ থেকে ওই ইঞ্জেকশন হাতিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতরও।

যেখানে সরকারি নির্দেশ ছাড়া ইঞ্জেকশন নেওয়ার অনুমোদন নেই, সেখানে কীভাবে এত স্টক বেরিয়ে গেল, তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্ত চিকিৎসকের। জানা গিয়েছে, প্যাথলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্মে বানানো হয়েছে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন। সেই প্রেসক্রিপশন নিয়েই ইঞ্জেকশন নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মূলত বাতের রোগের জন্য ব্যবহার করা হয় টোসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। কিন্তু সম্প্রতি চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণায় প্রকাশ্যে এসেছে যে, করোনা আক্রান্ত মরণাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাণ রক্ষা করতে সক্ষম এই ইঞ্জেকশন।

Advt

Previous articleবিদেশি ভ্যাকসিন ছাড়পত্রের জন্য ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই ভারতে, সিদ্ধান্ত DCGI-এর
Next articleসরকারি কর্মীরা করোনা টিকা না নিলে মিলবে না বেতন, যোগীরাজ্যে কড়া নির্দেশ