অভিষেককে আক্রমণ করতে গিয়ে কুণালের তীব্র কটাক্ষের মুখে শুভেন্দু

দল জিতলে তিনিও হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেন্দ্র অন্য রাজ্য থেকে নেতা এনেও একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছেন। আর তার পরেও বাংলার রায় যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর মতো কিছু নেতা। তাই শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক রদবদল নিয়েও আলটপকা মন্তব্য করে বসেন শুভেন্দু। আর সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে কুণাল ঘোষের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়লেন তিনি।

সময়ের দাবি মেনে, দেশের মানুষের আকাঙ্খা পূরণ করতে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময় এসেছে। দেশের মানুষের সেই আকাঙ্খা পূরণ করতে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে সর্বভারতীয় স্তরে আরও ভাল ভাবে নেতৃত্ব দেওয়া এবং জাতীয় কর্মসূচিতে গতি আনতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে যেন শুভেন্দু অধিকারীর গাত্রদাহ আরও বেড়ে গিয়েছে। তাই অভিষেকের নতুন দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু মন্তব্য করেন, “তৃণমূল কংগ্রেস একটি প্রাইভেট কোম্পানি। আর অভিষেকের এই পদ একটি কাল্পনিক বিষয়।”

তৃণমূলের ভার্চুয়াল সাংগঠনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানে শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় শুভেন্দুকে ধুয়ে দেন। কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর সবার আগে উচিত আত্মসমর্পণ করা। শুভেন্দুকে অবিলম্বে সারদা এবং নারদা মামলায় গ্রেফতার করা উচিত। তার কারণ তিনি শুধুমাত্র তদন্ত থেকে বাঁচতে ওখানে গিয়েছেন। শুভেন্দুর মনে রাখা উচিৎ শরীরের মেরুদণ্ড বলে একটা বস্তু আছে। যেটা ওনার শরীরের অনুপস্থিত। আর অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫ আসনের মধ্যে যেখানে তৃণমূল ২৬টা জিতে নিয়েছে এবং যেখানে যেখানে নাকি উনি (শুভেন্দু) দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন সেখানে বিজেপি সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। তাঁর মুখে আবার বড় বড় কথা।” এখানেই থামেননি কুণাল, শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে ‘গরুর গাড়ির হেডলাইট’ বলেন। কুণাল আরও দাবি, শুভেন্দুরা গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপির জুতো পালিশ করতে গিয়েছে। ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না।

কুণাল, শমিক ভাট্টাচার্যের তৃণমূলকে কংগ্রেসের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া অশান্ত শিশু মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন নিজের স্টাইলে। শমিক ভট্টাচার্যকে পরিযায়ী পরাজিত বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি কুণাল বলেন, শমিক ঘুরে ঘুরে হারেন, এক জায়গায় হারেন না। আর দল বদল নিয়ে বিজেপির হাতি-পিঁপড়ে মন্তব্যও ফিরিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, আসলে বিজেপি ভোটের আগে দেওয়াল লিখনটাই পড়তে পারেনি।

আরও পড়ুন- সোমবার থেকেই শুটিং শুরু হচ্ছে বলিউডে, মহারাষ্ট্রেও শুরু আনলক প্রক্রিয়া

Advt