করোনা আবহে পুরভোটের ঝুঁকি নিতে নারাজ তৃণমূল

অধিকাংশ পুরসভার (Municipality) মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দরুণ গত বছরই রাজ্যজুড়ে পুরভোট (Municipal Election) করার প্রস্তুতি নিয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে বাধ সাধে করোনা (Corona). মহামারির জন্য স্থগিত হয়ে যায় কলকাতা-বিধাননগর-হাওড়া-সহ রাজ্যের প্রায় ১১২টি পুরসভা নির্বাচন। কিন্তু জন পরিষেবা যাতে অচল হয়ে না পড়ে তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বসানো হয় প্রশাসকদের। তাঁরাই পরিচালনা করছে পুরসভার যাবতীয় কাজকর্ম। মূলত, প্রতিটি পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের প্রশাসনিক বোর্ডের মাথায় বসানো হয়। আর পুর প্রশাসকের নেতৃত্বে বাকি ওয়ার্ড কমিশনারদের নিয়ে কো-‌অর্ডিনেটর গঠন করা হয় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে। এবং বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সদস্যরাই পুর এলাকায় সমস্ত নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ দেখভাল করছেন সেই থেকে। যার আপত্তি করে বিরোধী বিজেপি আদালতে পর্যন্ত গিয়েছিল।

এদিকে, একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটে বিরাট জয় পেয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় ভোট করলেই ফের পুরসভাগুলি তৃণমূলের দখলেই আসার কথা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পুরভোট করানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না শাসক শিবির। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পুরসভাগুলির এখনই নির্বাচন করানো সম্ভব হচ্ছে না করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখন প্রথম কাজই হলো করোনার মোকাবিলা-সহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণ পুরোপুরি কমে গেলে তবেই নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে চায় ঘাসফুল শিবির। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও এমনটা চাইছে বলে জানা গিয়েছে।

Advt