Tuesday, November 25, 2025

হাত বাড়ালেই বন্ধু! অক্সিজেন-ওষুধ-ভ্যাকসিন নিয়ে গরিবের দরজায় কো-হেল্প

Date:

Share post:

২০২০, করোনার দোসর আমফান। ২০২১ করোনার বন্ধু ইয়াস। মহামারি মোকাবিলায় সঙ্গে সঙ্গী লকডাউন। টানা দু’বছর জোড়া বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত মানুষ। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বড় প্লাটফর্ম-এ দাঁড়িয়ে সরকার তাদের কাজ করছে। কিন্তু মহামারি থেকে ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চুপিসাড়ে কাজ করেছে চলেছে এ রাজ্যের অনেক সংস্থা। যারা কখনও প্রচারের পাদপ্রদীপে আসে না। সেরকমই এক সংস্থা “Co-help” (কো-হেল্প)।

সেবাই পরম ধর্ম। এই কাজে ব্রতী এই রাজ্য ও শহরের একদল মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। কোভিড কালে এরাই নিজের জীবন বিপন্ন করে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে। সে ওষুধ, অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, কোভিড রোগীর বাড়িতে খাবার পৌঁছনো হোক বা মুমূর্ষু রোগীর বাড়িতে বা হাসপাতালে চিকিৎসা বা রক্তের বন্দোবস্ত করা।

শুরুটা হয়েছিল কয়েক বছর আগে দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন। এলাকার কিছু দুঃস্থ সহায় সম্বলহীন পথশিশুদের নতুন জামা কাপড় দেওয়া থেকে। এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু ডাক্তারবাবুরাও। এরাই আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মালদার ভয়াবহ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য।

গতবছরের কোভিড লকডাউনে, যখন চারিদিকে পিপিই কিট, মাস্ক, সানিটাইসার-এর জন্য হাহাকার, তখনই বেলেঘাটা, ফুলবাগান অঞ্চলের কর্মরত কিছু মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা তাঁদের পেশাগত যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকর্মীদের কাছে সেগুলি পৌঁছে দেন।

এ বছর আবার যখন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সারা দেশে, যা থেকে বাদ পড়েনি আমাদের রাজ্য ও শহর। তখনই এক দল সাধারণ যুবক যারা রুটিরোজির জোগাড়ের জন্যে ওষুধ বিপণনের কাজে যুক্ত। আজ তাদেরই প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে একটা গ্রুপ #Co-help যার উদ্দেশ্যই ছিল এই সময় বর্তমান ভয়াবহ করোনা কালে বিভিন্ন মানব সেবামূলক কাজকর্মে সামনের সারিতে দাড়িয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া।

চারিদিকে যখন অক্সিজেন, ওষুধ, রক্ত, বেড-এর জন্য হাহাকার চলেছে, এই গ্রুপের সদস্যরা সাধ্যমতো পৌঁছে তা অসহায়, দুর্গত মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এদের নতুন কর্মকাণ্ড কোভিড টিকাকরণ এবার সকলের জন্য।

#Co Help গ্রুপের সাহায্যে বহু মানুষ টিকা নেওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন। এই গ্রুপের সক্রিয় রাহুলের কথায়, ” ছোট ছোট পায়ে পথ চলতে চলতে এখন আমাদের গ্রুপের সদস্য ৩০০-র বেশি। যে কাজ কলকাতার একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জেলাতেও। এবং অন্যান্য পেশার মানুষও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।”

আরেক সদস্য অয়ন বলছে, “মানুষের সেবা করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য এবং এক্ষেত্রে প্রশাসন, পুলিশ, ডাক্তারবাবুদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য।”

মানুষ বলছে, কো-হেল্প যেন হাত বাড়ালেই বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ।

আরও পড়ুন-নুসরত নিয়ে মালব্য খোঁচা দিতেই কুণালের তোপ, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর দিকে

spot_img

Related articles

কমিশনে যাবে ১০ প্রতিনিধিই: ফের চিঠিতে জানালেন ডেরেক

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে আজও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই নেয়নি কমিশন। তাই এবার দিল্লিতেই কমিশনের দফতরে গিয়ে তৃণমূল...

এসআইআর-আতঙ্কে মৃত্যু হল পঞ্চায়েত সদস্যার! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বিএলও

এসআইআরের কাজের চাপ ও আতঙ্ক ঘিরে ফের মৃত্যু এবং অসুস্থতার ঘটনা। সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকে...

দেশ চষবেন তৃণমূল সভানেত্রী: বিধানসভা ভোটের আগেই ২০২৯-এর পরিকল্পনা শোনালেন মমতা

রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কোনও প্রস্তুতি শুরু হয়নি, তার আগেই ভোটের দামামা বাজানোর চেষ্টা করে চলেছে রাজ্য বিজেপি। চারিদিকে...

অরিজিৎ-রাজ্যপাল সাক্ষাতে জমজমাট জিয়াগঞ্জ

দু’দিনের ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে এসে মঙ্গলবার সকালেই জিয়াগঞ্জে পৌঁছান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দিনভর ব্যস্ত সূচির মধ্যেও...