লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের সমালোচনা করায় দেশদ্রোহিতার মামলা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে

একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে লাক্ষাদ্বীপের(Lakshadweep) প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলের(Praful Patel) বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সেখানকার শান্তি প্রিয় জনগণ। এই পরিস্থিতিতে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলকে ‘জৈব অস্ত্র'(bioweapon) বলে তোপ দেগেছিলেন দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা অভিনেত্রী তথা পরিচালক আয়েশা সুলতানা। যার জেরেই তার বিরুদ্ধে দায়ের হল দেশদ্রোহিতার(Anti National) মামলা। ঘটনার ব্যাপক নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল।

দাদাগিরি সম্প্রতি এক মালায়লাম টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আয়েশা। সেখানেই লাক্ষা দ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলকে তোপ দাগেন তিনি। ‘বায়ো উওপেন’ বা জৈব অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা হয় প্রফুলকে। এই ঘটনাকে ভালো চোখে নেয়নি বিজেপি। ঘটনার পর লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি সভাপতি সি আবদুল কাদের হাজি দ্বীপপূঞ্জের রাজধানী কাভারাত্তি থানায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আয়েশার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪ এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি কেরালাতেও বিজেপি তরফে একটি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: গদ্দার-বেইমান: ফের রাজীবের বিরুদ্ধে পোস্টার, এবার বাঁকড়ায়

উল্লেখ্য গত বছর ৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয় প্রফুল প্যাটেলকে। ক্ষমতায় বসার মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই একের পর এক বিতর্কিত আইন চালু করেন এই প্রশাসক। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শুরুতেই আইন করে সেখানকার পঞ্চায়েতের হাতে থাকা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আরো একাধিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। আইন করা হয় দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে অংশ নেওয়া যাবে না।

পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপের অপরাধের হার একেবারে তলানিতে অথচ এখানে লাগু করা হয় বিতর্কিত গুন্ডা দমন আইন। যার ফলে কোনওরকম বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই এক বছর যে কাউকে আটকে রাখা হতে পারে জেলে। শুধু তাই নয় গেরুয়া রাজ্যের নীতি মেনে এখানেও করা হয়েছে গোমাংস নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি মদ বিক্রিতে বরাবরের নিষেধাজ্ঞা থাকা লাক্ষাদ্বীপে ঢালাও মদের দোকান খোলার লাইসেন্সও দিয়ে দিয়েছেন এই প্রশাসক। এমনই একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপের জেরে লাক্ষা দ্বীপের স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তাদের চিরাচরিত সংস্কৃতি ও সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছেন প্রফুল। স্মার্ট সিটির নাম করে ইচ্ছে মত সাধারন মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Previous articleপদ্মা সেতু : কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা!
Next articleবেআইনি নির্মাণ, দিনহাটার ক্লাবঘর ভাঙল পুরসভা