জিতিনের পর বেসুরো সচিন , কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে রফা -বৈঠক আজই

জিতিন প্রসাদের ( jitin Prasad) বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর পরই সচিন পাইলট (Sachin pilot) ইস্যু ফের মাথাচাড়া দিল। রাজধানীর রাজনীতিতে সচিনের বিজেপিতে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা, এই গুঞ্জন ছড়ালেও সচিন পাইলট যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তার কয়েক ঘণ্টা পরেই শুক্রবার রাতেই তিনি সটান হাজির হয়ে গেলেন দিল্লিতে । শনিবার বিকেলের দিকে সম্ভবত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন সচিন পাইলট। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী (Sonia Gandhi , Rahul Gandhi and Priyanka Gandhi) ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। কারণ গতবার তিনিই সচিনকে দলত্যাগ করা থেকে বিরত করেছিলেন।

 

কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এই বিবাদের জেরে গতবছরই দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন সচিন। সে সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সচিনকে আটকে রেখেছিলেন। বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যেই দাবি পূরণ করা হবে। কিন্তু সচিন পক্ষের দাবি বছর পার হতে চললেও সেই দাবি দাওয়া নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সুতরাং এদিনের বৈঠকে যে সচিন পাইলটের পুষে রাখা ক্ষোভ প্রশমনে চেষ্টা করা হবে তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।

 

কংগ্রেসের অন্দরের খবর, রাজস্থানের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়েই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি এসেছেন তিনি। সচিনের দাবি ছিল মন্ত্রিসভায় ৯টি শূন্য পদের মধ্যে ৭টিকেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের দেওয়া হোক। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই দাবি মানতে নারাজ। সুতরাং সচিনের দাবি কতটা পূরণ করা সম্ভব, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই এই রফা বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কী সমাধানসূত্র মেলেনি সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleশ্বাসনালীতে সংক্রমণ, সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
Next articleমুকুল রায়ের ‘ডবল’ নিরাপত্তা! মোতায়েন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাহিনী