‘এই সরকার জনবিরোধী’, টিকা ও জীবনদায়ী ওষুধে জিএসটি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ ব্রাত্যর

কোভিড টিকার ওপর ৫ শতাংশ কর বজায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরপরই তৃণমূল ভবনে মোদি সরকারকে বিঁধল রাজ্যের শাসক দল।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী।’’ তাঁর দাবি, কেন্দ্রের কাছে তৃণমূলের তরফে একাধিক বার জীবনদায়ী ওষুধ এবং টিকার উপর থেকে কর তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তার পরেও জিএসটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
শনিবারই কেন্দ্র জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি নেওয়া হবে ১২ শতাংশ। তবে আরটিপিসিআর যন্ত্র, আরএনএ এক্সট্র্যাকশন যন্ত্র, জিনোম সিকোয়েন্সিং যন্ত্রের উপর আগের মতোই ১৮ শতাংশ জিএসটি বহাল থাকবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং কিটের উপর আগের মতোই ১২ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে। কোভিড টিকার উপর থেকে পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি তুলে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের যুক্তি, টিকা কেনার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তারা। তাই এ ক্ষেত্রে জিএসটি তুলে নেওয়ার যুক্তি খাটে না।
এই প্রসঙ্গ টেনে এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী সরকার।’’ কেন্দ্রের কাছে তৃণমূলের তরফে একাধিক বার জীবনদায়ী ওষুধ এবং টিকার উপর থেকে কর তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তার পরেও জিএসটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের কথা বিন্দুমাত্র ভাবে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবে না। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের কোনও সহানুভূতি নেই এদের। টিকা এবং ওষুধ মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়ার পক্ষপাতি আমরা।’’

 

Previous articleচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত চিনা নাগরিককে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত দিল আদালত
Next articleবিহারে বেসুরো ২ জোটসঙ্গী, বাড়ছে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা