গ্যাংস্টারদের সঙ্গী ভরতের শ্বশুরবাড়ি চারু মার্কেটে, যোগাযোগ ছিল না দাবি শাশুড়ির

নিউটাউনে সাপুরজির আবাসনের এনকাউন্টারে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে আগে জানা গিয়েছিল যে, সুমিত কুমারের নামে আধার কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে ফ্ল্যাট বুক হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত এগোতেই সামনে আসে যে, সুমুত কুমার আসলে ভুয়ো। ওই নামে আসলে কেউই নেই। সুমিত কুমারের নামে যে আধার কার্ড, প্যান কার্ড দেখিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয় তার প্রত্যেকটি নথিই জাল। সুখবৃষ্টির ফ্ল্যাট আসলে ভাড় নিয়েছিলেন হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা ভরত কুমার।

তদন্তে জানাগিয়েছে, ভরতই নাম জাল করে নিজেকে সুমিত কুমার বলে পরিচয় দিয়েছিল।পুলিশকে ধৃত ভরত জানিয়েছে, গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লারদের যোগাযোগ অনেকদিনের। অনিল দুগ্গার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ভরতের। তার মাধ্যমে সাপুরজির ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন ভরত কুমার। ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তি করে হরিয়ানায় ফিরে যায় ভরত কুমার।

ভরত কুমারের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ অনেক দিনেরই। পুলিশ সূত্রে খবর, ভরতের স্ত্রীর বাপেরবাড়ি কলকাতার চারু মার্কেট এলাকায়। নেটমাধ্যমেই তাঁদের আলাপ এবং সেখান থেকেই বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি কলকাতায় হওয়ার সূত্রে শহরে তাঁর যাতায়াত লেগেই ছিল।
তবে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বাড়ির ভিতরে ঢোকেননি ভরত। ভরতের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির কোনও যোগাযোগ ছিল না বলেই জানিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি ভারতী দেব। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে আর ভরতের মধ্যে কবে বিয়ে হয়েছে জানি না। ওরা এখানে থাকে না। পঞ্জাবেই থাকত। শেষ বার মে মাসে এসেছিল মেয়ে। ঘণ্টাদুয়েক ছিল বাড়িতে। তার পর হোটেলেই উঠেছিল। শেষ বার ২৭ মে কথা হয়েছিল। তখন জানিয়েছিল, পঞ্জাবে আছে। কিন্তু ভরত সম্পর্কে কিছুই জানি না।’’
ভরতের সঙ্গে গ্যাংস্টারদের যোগাযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ভরতের স্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘ভরতকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে। গ্যাংস্টারদের সঙ্গে ওর যোগাযোগ হবে কী করে?ও খুবই সাধারণ ছেলে। ভরত ডেকেছিল বলে আমি কলকাতা গিয়েছিলাম। কলকাতায় আমরা একটি হোটেলে ছিলাম। আমি বিমানে কলকাতায় গিয়েছিলাম, গাড়িতে পাঞ্জাব ফিরেছি। “
শনিবার ফরেন্সিক রিপোর্টে সাপুরজির ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে যে তৃতীয় এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলেছে, তা ভরতেরই বলে পুলিশের অনুমান।

Previous articleবেনজির অবদান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২ মার্কিন সাংবাদিককে এবারের পুলিৎজার
Next articleভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ১০ কোটি টাকা গায়েব করেছে ধৃত হান জুনবে