ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ১০ কোটি টাকা গায়েব করেছে ধৃত হান জুনবে 

গুপ্তচর ও প্রতারক (Chinese spine cheeter) সন্দেহে মালদহে (maldah) ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনবে ও তার দলবল মিলে গত ৩ বছর ধরে ভারত থেকে অন্তত ১০ কোটি টাকা হাতিয়েছে । এমনটাই সন্দেহ করছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা (police and detective)। প্রাথমিক তদন্তের পরে গোয়েন্দাদের ওই সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে। তবে চিনা দোভাষীর সাহায্য নেওয়ার পরেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের একাংশের দাবি, হান ও তাঁর দলবল কী কী তথ্য চিনে পাচার করেছে, অনলাইনে প্রতারণা করে ঠিক কত টাকা কামিয়েছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরেকটু সময় লাগবে। তবে সেই পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে তদন্তকারীদের একাংশের ধারনা।

গত ১০ জুন সকালে হান বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে। এর পরে কালিয়াচক পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। হানের কাছ থেকে বাংলাদেশ ও নেপালের ভিসা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ভারতে ঢোকার বৈধ নথিপত্র তাঁর কাছে ছিল না। পুলিশের দাবি, ভারতে ঢোকার আগে চিনা নাগরিক তাঁর এক সঙ্গীর সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ এলাকায় থাকত। তার আগে ঢাকাতেও কিছুদিন ছিল সে। তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একাধিক সিম কার্ড মিলেছে।

জেরায় পুলিশ জেনেছে, হানের স্ত্রীও গ্যাংয়ে যুক্ত। দিন কয়েক আগে লখনউ এসটিএফ এক চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল। ধৃত সেই ব্যক্তি হান -এর বন্ধু। তখন থেকেই লখনউ এসটিএফের খাতায় ওয়ান্টেড ছিল জুনেব ও তার স্ত্রী। চিনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা হান ও তার দলবল প্রতারণা করত কীভাবে! দুজনে মিলে দুটি অ্যাপের মাধ্যমে জাল বিছিয়ে ভারতের নানা প্রান্তের নাগরিকদের অনলাইনে টাকা ডবলের টোপ দিয়ে প্রতারণা করত। সেই কাজে ভারতীয় সিম ব্যবহার করত হানরা। ধৃতরা গত তিন বছরে অন্তত ১৩০০ ভারতীয় সিম কার্ড ভুয়ো নথি দিয়ে তুলে ব্যবহার করেছে। সেই সব সিম দিয়ে বারতীদের পাঁদে ফেলে তাঁদের কাছে নানা লিঙ্ক পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত হান ও তার দলের লোকরা।

 

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে জালিয়াতিতে ব্যবহার করা হয়েছে এমন পাঁচটি যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে হানের কাছে।

Previous articleগ্যাংস্টারদের সঙ্গী ভরতের শ্বশুরবাড়ি চারু মার্কেটে, যোগাযোগ ছিল না দাবি শাশুড়ির
Next articleসুস্থ আছেন এরিকসন, ফিনল‍্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হার ডেনমার্কের