ইয়াস দুর্গতদের পাশে ‘আর্ট অফ লিভিং’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে ছন্নছাড়া বহু গ্রাম। দুর্গত অসহায় মানুষদের সম্বল শুধুই ত্রাণশিবির।এবার এই দুর্গত মানুষদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আর্ট অফ লিভিং’। ধর্মগুরু রবিশঙ্করের ‘আর্ট অফ লিভিং’ সংস্থা আমফান, ফণি, আয়লা যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে বারবার দাঁড়িয়েছে।
ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী একশোরও বেশি গ্রামে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন ‘আর্ট অফ লিভিং’-এর ২০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। শুধু খাদ্যসামগ্রীই নয়, সেইসঙ্গে ব্লিচিং পাউডার, ত্রিপল, লেবু, স্যানিটারি প্যাড, স্যানিটাইজ, মাস্কও বিলি করেন তাঁরা। এছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় ‘কমিউনিটি কিচেন’-এর মাধ্যমে দুবেলা রান্না করা খাবার দুর্গতদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা।
পাশাপাশি শুকনো খাবার, চাল, মুসুর ডাল, মুগ ডাল, আলু, তেল, নুন, হলুদ, চিরে, গুড়, বাচ্চাদের দুধ, বিস্কুট, জল, ছাতু, ফল, মুড়ি ছাড়াও পশুখাদ্যও দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এমন দুর্দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে খুশি দুর্গতরাও। আর্ট অফ লিভিং-এর স্বেচ্ছাসেবকরা উপকূলবর্তী এলাকায় গিয়ে প্রতিটি দুর্গত মানুষদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিতে পেরে বেজায় খুশি। তবে তাঁদের কথায়, ইয়াস দুর্গত গ্রামগুলিতে এখনও অনেক বাড়ি জলের তলায়। শুধু তাই নয় এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় বিষধর সাপ এবং বিষধর পোকা কামড়ালে গ্রামবাসীদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ইয়াসের জেরে পুকুরগুলিতে নোংরা জল জমা হওয়ায় তা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং এই জল পশুদেরও পানের অযোগ্য। তাই লেবু ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে এই জল শুদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে আর্ট অফ লিভিং। যাঁদের ঘরের চাল ইয়াসের জেরে উড়ে গিয়েছে, সেসব এলাকায় ত্রিপল টাঙিয়ে ইতিমধ্যে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

Previous articleসংঘাত নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় ভারত, রাষ্ট্রসঙ্ঘে বার্তা নয়াদিল্লির
Next articleপুরকর্মীদের পেনশনের নতুন নিয়ম, অবসরের পরের দিন থেকে মিলবে সুবিধা