মারা গেলেন বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের প্রধান জিয়ংহাকা ওরফে জিয়ন। ৭৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তির ৩৯ স্ত্রী, ৯৪ সন্তান, ১৪ পুত্রবধূ, ৩৩ নাতি ও ১ পুতি রয়েছে। রবিবার রাতে আইজলের এক হাসপাতালে মারা যান তিনি।

মিজোরামের বাকতাওয়াং গ্রামে একটি চারতলা বাড়িতে ১৮১ জন সদস্যকে নিয়ে থাকতেন জিয়ন। পরিবারের কর্তা ছিলেন তিনিই। ২০১১ সালে ও ২০১৩ সালে ‘রিপ্লে’জ বিলিভ ইট অর নট পত্রিকায় স্থান পেয়েছিল জিয়নের পরিবার। তারপর থেকেই তাঁর বাড়িটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। ১৮১ জনের এই পরিবারের সিংহভাগ অর্থ তাঁদের খাওয়ার পেছনেই খরচ হয়। পরিবারে দৈনিক প্রায় এক কুইন্টাল ডাল ও চালের রান্না করা হয়। একদিনে প্রায় ৪০ কেজি মুরগির মাংস খায়। আগে সবাই নিরামিষ খাবার রান্না খেত। চাষবাসও নিজেরাই বাড়ির বাগানে করতেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে হাসপাতালের চিকিৎসক লালরিনথুয়াংগা জাহাউ বলেন, ‘‘জিয়নের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। ৩ দিন ধরে বাকতাওয়াং গ্রামে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আনার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।’’

জিয়নের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাংগা টুইটার লেখেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের কর্তা জিয়নকে বিদায় জানাচ্ছে মিজোরাম। শান্তিতে থাকুন।’ এছাড়াও তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশের রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি লাল থানহাওলা, জোরাম পিপলস মুভমেন্টের নেতা লালদুহোমাথেকে শুরু করে মিজোরামের জনপ্রতিনিধিরা।