সন্ত্রাস আর প্রতিবাদের ফারাকটা বুঝতে হবে, কেন্দ্রকে খোঁচা দিল্লি হাইকোর্টের

প্রতিবাদী আন্দোলন আর সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের মধ্যে ফারাকটা যদি মুছে যায় তাহলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত আশঙ্কার হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে মন্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের। আদালতের বক্তব্য, কোনটা প্রতিবাদ আর কোনটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ তা বুঝতে হবে। কার্যত এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই সিএএ বিরোধী আন্দোলনে (anti CAA movement) অভিযুক্ত তিনজনকে জামিন (bail) দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। ২০২০ সালে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মহিলা অধিকার সংরক্ষণ গ্রুপ পিঞ্জরা তোড়ের নাতাশা নরওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা ও জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ ইকবাল তনহা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর তাঁরা জামিন পেলেন। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্বানির বেঞ্চ ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড ও পাসপোর্ট জমা নিয়ে জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন। পর্যবেক্ষণে বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার ও সন্ত্রাসমূলক কাজের মধ্যে বিভাজনরেখা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মনোভাব গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর। যেকোনও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগে ইচ্ছেমত ইউএপিএ ধারা যোগেরও তীব্র সমালোচনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

 

Previous articleশ্রীলঙ্কা সফরে ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, জানিয়ে দিলেন বিসিসিআই প্রধান
Next articleBSP-র ৯ বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন অখিলেশের দলে?