করোনা বিপর্যয়ে দেশের আর্থিক ক্ষতি কতটা, রিপোর্ট প্রকাশ করল আর বি আই

করোনার দ্বিতীয় (Corolla second wave) ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারতে কতটা আর্থিক (financial loss due to Corona pandemic) ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ(month end bulletin of reserve Bank of India) ইন্ডিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে এই ক্ষতির পরিমাণ ২ লক্ষ কোটিরও বেশি। যদিও এই ক্ষতি শুধু যে ভারতেরই হয়েছে তা নয় বিশ্বের প্রতিটি দেশই কম বেশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে করোনা বিপর্যয়ের দরুণ।

 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও(rural and urban both sector are affected due to corona) প্রভাব ফেলেছে। তাই শহরের অর্থনীতির পাশাপাশি এবার গ্রামীণ অর্থনীতিতেও মন্দার ছোঁয়া। অতিমারির জোরে কাজ হারিয়েছেন এবং হারাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ।করোনা সংক্রমণ (corona pandemic)এবং লকডাউন(lockdown) এই জোড়া ফলার আক্রমণের জেরে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই প্রথমবার লকডাউনের পরে ফের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার লকডাউনে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এই ব্যবসাগুলির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িতদের অনেকেরই রোজগার বন্ধ। যার ধাক্কা সরাসরি গিয়ে পড়ছে দেশের জিডিপিতে (GDP)। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সময় দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউন না হলেও প্রায় সব রাজ্যই নিজেদের মতো করে বিধিনিষেধ জারি করেছে। এর ফলে প্রতিটি রাজ্যের কলকারখানা বন্ধ । উৎপাদন বন্ধ। যা দেশের অর্থনীতিকে সবচেয়ে বড় ধাক্ক দিয়েছে।

তবে রিজার্ভ ব্যাংকের (monthly bulletin of Reserve Bank of India) মাসিক বুলেটিনে আশার কথাও শোনানো হয়েছে। RBI বলছে,করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমিয়েছে ঠিকই। কিন্তু কৃষিক্ষেত্র এবং স্পর্শহীন পরিষেবার ক্ষেত্রে চাহিদা এবং সুযোগ দুটোই বাড়ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মনে করছে সার্বিকভাবে টিকাকরণ (mass vaccination is very is essential step)হয়ে গেলে লকডাউন তুলে দেওয়া যেতে পারে। তাই সর্বাগ্রে টিকাকরণের গতি বাড়াটে হবে। ফলে মানুষের মনে ভরসা বিশ্বাস ও সাহস বাড়বে। ভারতীয় অর্থনীতিও গতি ফিরে পাবে। অর্থাৎ, দেশের আর্থিক গতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও টিকাকরণে ভরসা রাখছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

Previous article১ জুলাই থেকে বাড়ছে স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম ও চেকবইয়ের খরচ
Next articleকরোনার জের: ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়ালের মেয়াদ ৩ মাস বাড়াল কেন্দ্র