বয়স ১০৫। এখন শিরদাঁড়া সোজা। স্পষ্ট বলেন কথা। আর চেয়ারে বসেই নিলেন কোভিডের টিকা। বেনজির এই ঘটনার সৌজন্যে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচি এবং চন্দননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্যোগ।

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে যারপরনাই আনন্দিত সেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েও নিশ্চিন্তে জীবনের ব্যাটিং করে চলা হেমেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। রাজ্যে দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্পে সেঞ্চুরি পেরনো কোনও বৃদ্ধের টিকাকরণ কার্যত বিরল। হেমেন্দ্রবাবু খুশি, খুশি তাঁর পরিবারও। ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা রাজ্য সরকারকে। এই বয়সেও তিনি আশাবাদী। বললেন, কেটে যাবে এই মহামারী। আবার স্বাভাবিক হবে মানুষের জীবন। চন্দননগর পুরনিগম বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে এই টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। কিন্তু শুক্রবার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় পুরকর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও আপ্লুত। আর এলাকার বাসিন্দারাও দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এলাকার বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে। তাঁরা বলছেন, বয়স্ক ও পিতৃতুল্য অভিভাবকদের জন্য রাজ্যের এই ভাবনা অতিমারী পরিবেশেও মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছে।