শ্যামাপ্রসাদের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে কমিশন গঠনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েও অটলবিহারী বাজপেয়ী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুরহস্যের সমাধানে উদ্যোগ নেননি ৷ ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছেন। তিনিও এই ইস্যুতে নীরব৷ অথচ বিজেপি দাবি করে জনসঙ্ঘ তথা বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ-ই৷ তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি এড়িয়ে চলেছে৷ এবার বিষয়টি পা রাখলো আদালতের আঙিনায়৷

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগের দিন, মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রুজু হলো এক জনস্বার্থ মামলা।

১৯৫৩ সালের ২৩ জুন জম্মু কাশ্মীরের পুলিস হেফাজতে মৃত্যু হয় শ্যামাপ্রসাদের৷ তখন থেকেই বলা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী দাবি করেছিলেন, নেহরুর চক্রান্তেই শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু হয়েছিলো। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েও অটলবিহারী কিন্তু এই বিষয়ে কোনও তদন্তই করেননি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছেন। তিনিও এই ইস্যুতে নীরব৷ ওদিকে শ্যামাপ্রসাদকেই বিজেপি তথা জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দাবি করে বিজেপি-ই। অথচ, তাঁর রহস্য-মৃত্যুর কিনারা করার উদ্যোগ নেননি বাজপেয়ী বা মোদি৷ আজও কোনও তদন্ত শুরুই হয়নি।

এই দাবির ভিত্তিতেই হাইকোর্টের আইনজীবী স্মরজিত্‍ রায়চৌধুরি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। হলফনামায় তিনি দাবি করেছেন, পূর্ববর্তী বাজপেয়ী-জমানায় বা চলতি মোদি-জমানায় শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুর রহস্যভেদের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ অথচ বিজেপি-সহ একাধিক দল এখনও দাবি করে, শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে ষড়যন্ত্র করে৷

স্মরজিত্‍ রায়চৌধুরি বলেছেন, আজও যে বিষয়টি রহস্যাবৃত, সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতেই তিনি মামলা করেছেন। তাঁর দাবি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুরহস্য জানতে গঠন করা হোক তদন্ত কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠিত হোক৷
স্মরজিত্‍বাবুর দাবি, “এই রহস্যের অবসান হোক। সত্য সামনে আসুক। তদন্ত কমিশন গঠিত হোক৷”

 

 

Previous articleআজও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
Next articleদেশে নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২,৬৪০