পুর-পঞ্চায়েতে অনাস্থা-জটিলতা মোকাবিলাই এখন তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ

বাংলায় হ্যাট্রিকের সরকার তৈরির পর রাজনৈতিক দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের (tmc) কাছে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ (new challenge) পঞ্চায়েত (panchayet) বা পুরসভাস্তরে অনাস্থাজনিত বিতর্ক। বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ হলেও তৃণমূলস্তরে দলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে আসতে না দেওয়াটাই ‘টাফ টাস্ক’ (Tough task) দলের কাছে।

বুধবারে হলদিয়ার সুতাহাটার আশদতলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত (Sutahata gram panchayet) তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তৃণমূল পরিচালিত ৬ সদস্যের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাধানকে (panchayet pradhan) বাকি পাঁচজন বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে হারিয়ে দিল জেলা সভপতির (jela savapati) হুইপ সত্ত্বেও।

প্রশ্ন হলো এটা কি শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই ঘটছে? বাস্তব বলছে বিজেপি, বামসহ নির্দল সদস্যরাও মাঝে মাঝেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে। শাসক দল হিসাবে তৃণমূলের প্রধান চ্যালেঞ্জ দলের মধ্যে এই উপদলকে প্রতিহত করা। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী প্রথম আড়াই বছর পঞ্চায়েতে কোনও অনাস্থা আনা যাবে না। সেই আড়াই বছর শেষ হয়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় এই অনাস্থা আসা শুরু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে, তেমনি কোথাও কোথাও ন্যায্য-অন্যায্য দাবি-দাওয়াও রয়েছে। তবে ঘটনা শুধু তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত বা পুরসভায় নয়, অন্য দলের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। একেবারে তৃণমূলস্তরে এই যে অনাস্থার রাজনীতি, তা কীভাবে দল মোকাবিলা করে, এখন দেখার সেটাই। দু-আড়াই বছরের গোষ্ঠীবিন্যাস ও ক্ষোভ এখন দিকে দিকে জেগে উঠছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা শাসকরা বলছেন, কোভিড অস্বস্তির মাঝে অনাস্থা অস্বস্তি তৈরি করে জটিলতা তৈরি করবেন না। শোনার সময় যেমন নেই, পরিস্থিতিও নেই। বহু জায়গায় এই জটলতা তৈরি হচ্ছে। আর সেটাই আপাতত তৃণমূলের নতুন চ্যালেঞ্জ। কীভাবে সামাল দেয়, সেটা দেখার।

 

Previous articleবিজেপি সাংসদের অভিযোগের পাল্টা দিলেন নুসরত, প্রশ্ন উঠছে বিয়ে নাহলে বিয়ে বাতিলের মামলা কেন
Next articleভোট-পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল