‘বিজেপি ছাড়তে চাপ’, প্রত্যাশিতভাবে রাজ্যপালের কাছে একই অভিযোগ জন বার্লার

আলাদা উত্তরবঙ্গ(North Bengal) রাজ্যের দাবি তুলে দলের ঘরে ও বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা(John Barla)। প্রবল বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের(Jagdeep Dhankar) সঙ্গে দেখা করে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুললেন তিনি। যদিও রাজ্যপাল সাক্ষাতে আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের(governor) সামনে কিছু বলেছেন কি না সেই ব্যাপারে জন বার্লা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে আলাদা রাজ্যের দাবিতে যাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল, সেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রাজ্যপালের এই সাক্ষাৎ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বার্লা অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের দল ছাড়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ও ভয় দেখানো হচ্ছে। জন বার্লা জানান, “রাজ্যপালকে সব জানানো হয়েছে এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আইনের হাত থেকে কেউ ছাড় পাবে না।” যদিও বিজেপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে কাউকে কোনওরকম জোর করা হয়নি। রাজ্য ভাগের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গিয়ে বিবেকের ডাকেই মানুষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।

পাশাপাশি রাজ্যপালকে তোপ দেগে তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট কথা, রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট। তিনি বিজেপির ভাষা বলবেন না তো কার কথা বলবেন? কলকাতার রাজভবনকে পার্টি অফিস বানিয়েছেন, এবার দার্জিলিঙেও এই একই কাজ করছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছেন। রাজ্যভাগ যারা করতে চাইছে, তাদের কথা বসে শুনছেন। গণতন্ত্রে এরচেয়ে ‘বড় বিদ্রূপ’ আর কী হতে পারে! প্রসঙ্গত, এদিন আলিপুরদুয়ারের সাংসদের সঙ্গে বিধায়ক মনোজ ওঁরাও সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ৯ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁরা রাজ্যপালকে অভিযোগ জানিয়েছেন।

 

Previous articleকোভিডের সমস্ত রূপের সাথে লড়তে শীঘ্রই আসছে ‘সেকেন্ড জেনারেশন’ ভ্যাকসিন
Next articleইউরো ২০২০ কাপে খেলা জনি কাউকোকে সই করাল এটিকে মোহনবাগান