লাগাতার বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি-তিনধারিয়া, ক্ষতি টয়ট্রেনের লাইনে

প্রায় ১০ বছরের মাথায় ফের বড় ধরনের ধস নামায় ফের শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কার্শিয়ঙের তিনধারিয়া। লাগাতার বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকালে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় রাস্তার অনেকটা অংশ নীচে খাদে গিয়েছে। টয়ট্রেনের (Toy Train) লাইনও ধসের নীচে চাপা পড়েছে। ওই এলাকার একটি বাড়িও আংশিক ধসে গিয়েছে। কোনও প্রাণহানির খবর নেই। কিন্তু, বহু টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন দাবি করেছে।

দাজর্লিংয়ের (Darjeeling) পুলিশ-প্রশাসন ও পূর্ত দফতর ধস সরানোর কাজে নেমেছে। কিন্তু, মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির ফলে ধস সরানোর কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।

ধস নামায় তিনধারিয়া বাসিন্দারা সবচেয়ে সমস্যা পড়েছেন। কারণ, তিনধারিয়া থেকে শিলিগুড়ি ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াতে বডজোর ৪০ মিনিট লাগে। কিন্তু, ধসে রাস্তা বন্ধ হওয়ায় রোহিণী হয়ে তিনধারিয়ার বাসিন্দাদের শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে হবে। তাতে দ্বিগুণ সময় লাগবে। কোভিড পরিস্থিতিতে রোগী-রোগিণীদের ভর্তি করানোর কাজে বিঘ্ন ঘটবে। আবার রংটংয়ের বাসিন্দাদের কার্শিয়াঙের হাসপাতালে যেতে সমস্যায় পড়তে হবে।

২০১১ সালের বর্ষায় পাগলাঝোরা এলাকায় বিশাল ধস নামায় শিলিগুড়ি-কার্শিয়াং বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনধারিয়ার জনজীবন বিপন্ন হয়ে যায়। সেই ধস সরিয়ে ঠিক করতে দীর্ঘ সময় লাগে। তার পরে ফের ছোটবড় ধসে টয় ট্রেনের লাইন, রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। বছর দেড়েক আগে ওই রাস্তা ও টয় ট্রেনের লাইন ঠিক হয়েছিল। ফের ওই রুটে বড় গাড়ি যাতায়াত শুরু হয়েছিল। টয় ট্রেনও চলাচল করেছে। কিন্তু, এবার ধসের জেরে ফের ওই রুট বন্ধ হয়ে গেল। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (Gta) এক কর্তা জানান, জরুরি ভিত্তিতে ধস সরানোর কাজ চলছে।

আরও পড়ুন:মান্দারিন ভাষার পাসওয়ার্ড পেল STF, হানের ল্যাপটপ থেকে মিলছে নানা তথ্য

 

Previous articleমান্দারিন ভাষার পাসওয়ার্ড পেল STF, হানের ল্যাপটপ থেকে মিলছে নানা তথ্য
Next articleকরোনাকালে প্রয়োজনের তুলনায় চারগুণ বেশি অক্সিজেন চায় দিল্লি, বলছে রিপোর্ট