বড় ভাঙনের মুখে আসানসোল বিজেপি, খোদ জেলা সম্পাদক আজ তৃণমূলে ?

এবার আসানসোলে বড় ভাঙন বিজেপিতে। বিধানসভা ভোটে গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন যেসব নেতারা, শিল্প শহরে তাদের গলাতেও এখন বেসুরো সুর।কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, ‘মন ভেঙে গিয়েছে।’ সেই তালিকায় অন্যতম বিজেপি-র আসানসোলের জেলা সম্পাদক মদনমোহন চৌবে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজেপির জেলা সম্পাদকের পদ না ছাড়লেও মদনমোহন কিন্তু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা তৃণমূলে যাচ্ছি’।

আসানসোল রবীন্দ্রভবনে তৃণমূল আয়োজন করেছে ‘যোগদান’ মেলার। যে মেলার মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক। সব ঠিকঠাক থাকলে রবিবাসরীয় ওই ‘মেলা’য় বিজেপি ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরের পতাকা তুলে নিতে চলেছেন গেরুয়াশিবিরের প্রায় ৪০০ নেতা এবং কর্মী।
২০১১-এর পর ২০২১- এ বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে হেরেছেন মদনমোহন। আর এর জন্য তিনি দায়ী করছেন দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বকে।

কী বলছেন মদনমোহন? তার বক্তব্য, মনটা ভেঙে গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল তাঁদের বদলে বিজেপি-র কোনও কর্মীকে টিকিট দিলে ভাল হত। শুধু এখানে নয়। সব জায়গায়। ভাবতে পারিনি নিজের দল তার আদর্শ থেকে সরে যাবে এবং দুর্নীতি করবে। দল করার আর মানসিকতা আর নেই। এই দুর্নীতিতে কারা জড়িত সে খবর আপনারা কিছু দিন বাদে পেয়ে যাবেন। বড়, ছোট সব নেতাই এর সঙ্গে জড়িত।

যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোলে ময়দানে নেমেছেন আসানসোলের বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তার দাবি, এই জেলায় বিজেপি-র কেউ এখনও দল ছেড়ে যায়নি। আমার কাছে দল ছেড়ে দেওয়ার খবরও নেই। দীর্ঘ সন্ত্রাসের জেরে কিছু হতাশা তৈরি হয়েছে। আমার বিশ্বাস, কেউ দল ছাড়বে না।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন জানিয়েছেন , আসানসোলের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপি এবং সিপিএমের বিভিন্ন পদাধিকারী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছেন। আমরা বিষয়টি দলকে জানিয়েছি। নির্দেশ পেলেই তাঁরা দলে যোগ দেবেন।

 

 

 
Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস