প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর চিঠি বর্তমানকে, অশোকবাবু কি হাত কামড়াচ্ছেন? প্রশ্ন তৃণমূলে

তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না ঘোষণা করেছেন। আর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন হওয়ার ইচ্ছেও নেই বলে আগাম বলেছিলেন। অথচ, মাস দুয়েক কাটার আগেই ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার জন্য কি হাত কামড়াতে শুরু করলেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য!

অন্তত, বুধবার অশোকবাবু রাজ্যে পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে যে চিঠি লিখেছেন তাতে এমনই ধারনা করছেন অনেকে। কারণ, ওই চিঠি পঠানোর পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে চিঠির কপি পৌঁছেছেন অশোকবাবু। চিঠিতে লেখা হয়েছে, গোটা রাজ্যে গত বিধানসভা ভোটের আগে যে প্রশাসক বোর্ড নানা পুরসভায় ছিল সেগুলি বহাল রাখা হয়েছে। তা হলে কেন শিলিগুড়িতে তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রশাসক বোর্ডকে পুনর্নিয়োগ না করে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির পরাজিত বিধায়ক গৌতম দেবকে পুরসভার মাথায় মনোনীত করল রাজ্য সরকার!
শুধু তাই নয়, রাজ্যের যে সব পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড রয়েছে, সেখানে বিদায়ী কাউন্সিলরদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে কাউকে তা করা হয়নি কেন সেই প্রশ্নেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবু। তিনি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে সামগ্রিক পরিস্থিতি জানানোর জন্য চিঠিটি লিখেছেন বলে দাবি করেছেন।

এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে অশোকবাবু জানান, পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট হয়নি। কিন্তু, প্রশাসক বোর্ডে সব পুরসভায় বিদায়ী মেয়র পরিষদ বা বিদায়ী চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলকে মনোনীত করা হয়েছিল। সে ভাবে তিনিও প্রায় এক বছর দায়িত্বে ছিলেন। তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে অনেক পুরসভার ক্ষেত্রে আগের নির্দেশই পুনর্বহাল করা হয়েছে। কিন্তু, শিলিগুড়িতে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন হয়েছেন প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা অলোক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি একজন হোটেল মালিক তথা প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার বিবেক বৈদ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার (যিনি বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলনেতাও ছিলেন)।

এখন অশোকবাবুর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা সব পুরসভায় কার্যকর হয়েছে. কিন্তু শিলিগুড়িতে অন্যরকম ভাবে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। কেন ব্যতিক্রম শিলিগুড়ি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ি বিধানসভায় সদ্য পরাজিত সিপিএম নেতা অশোকবাবু।

তৃণমূলের জেলা নেতাদের কয়েকজন দাবি করেন, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়িতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন অশোকবাবু। হারের পরে ঘোষণা করেন, তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না এবং প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্ব দিলেও নিতে আগ্রহী নন। তা হলে এখন অশোকবাবু কি হাত কামড়াচ্ছেন, প্রশ্ন তৃণমূলের অনেকেরই।

আরও পড়ুন- এবার ধস গরুবাথানে, বিচ্ছিন্ন লাভা-লোলেগাঁও

Previous articleএবার ধস গরুবাথানে, বিচ্ছিন্ন লাভা-লোলেগাঁও
Next articleভিআইপি স্টিকার ও নীল বাতি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি লালবাজারের