‘রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ হওয়া জরুরি অবস্থা শামিল’, স্পিকারকে চিঠি ধনকড়ের

করোনা পরিস্থিতির(covid situation) কারণে বিধানসভার(assembly) বাজেট অধিবেশনে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফলে রাজ্যপালের(governor) ভাষণের সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি এই মর্মে রাজভবনকে চিঠি দিয়েছিল বিধানসভা। তারই পাল্টা হিসেবে এবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Biman Banerjee) কড়া চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। জানিয়ে দিলেন, “রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করা জরুরি অবস্থার শামিল।” বুধবার বিধানসভার স্পিকারকে লেখা চিঠির ছত্রে ছত্রে স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সরব হয়েছেন বিধানসভার কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে লেখা চিঠির বিষয়টি নিয়েও।

বুধবার স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল লেখেন, ‘লোকসভার অধ্যক্ষকে দেওয়া আপনার চিঠি আমাকে ব্যথিত করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনার এই অভিযোগ সংবিধানের পরিপন্থী। বরং আপনার কাজে রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করা হয়েছে। আমি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। আমি বিধানসভায় গেলেও আপনি উপস্থিত থাকেননি। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে রাজ্যপালের ভাষণ দেখানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। সংবিধানের ১৭৬ ধারা অনুযায়ী এই অবস্থা জরুরি অবস্থার শামিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেখানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:আর যেতে হবে না ভিন রাজ্যে, বাংলায় হচ্ছে আরও দুটি ক্যানসার হাসপাতাল: মুখ্যমন্ত্রী

শুধু তাই নয়, চিঠিতে ধনকড় আরও লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যমের সামনে আপনি অভিযোগ করেছেন রাজভবনে পাঠানো বিল ফেরত পাঠানো হয়নি। এই অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ রাজ্যপাল কোন কাজ ফেলে রাখেননি।” উদাহরণস্বরূপ দুটি বিলের কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। যার একটি ‘ডানলপ ইন্ডিয়া’ এবং দ্বিতীয়টি ‘গণপিটুনি রোধক বিল’।

 

Previous articleফের মালদহে গঙ্গায় দেহ ভেসে এল, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleসিকিম ও ভুটানে প্রবল বৃষ্টি, তিস্তা-জলঢাকায় হলুদ সর্তকতা জারি