রাফালে(Rafale) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে ফ্রান্স সরকার(France government)। এই পরিস্থিতিতে ভারতে মোদি সরকারের(Modi government) বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। শনিবার রাফাল কাণ্ডে জেপিসি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা(Randeep Singh surjewala)। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান নিয়ে যখন শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে ঠিক সেই সময় ফের একবার নাম না করে মোদিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ছবি পোস্ট করেন রাহুল। সঙ্গে লেখেন, ‘চোরের দাড়ি’ হ্যাশট্যাগ রাফাল দুর্নীতি। যে ছবি রাহুল শেয়ার করেছেন তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না চোরের দাড়ি বলতে প্রধানমন্ত্রীর দাড়িকে বুঝিয়েছেন সোনিয়া তনয়।
View this post on Instagram
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির বিরুদ্ধে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে ময়দানে নেমে ছিল কংগ্রেস। যদিও সে সমস্ত অভিযোগ বিজেপি ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়। তবে বিতর্ক নতুন ভাবে চড়তে শুরু করে গত এপ্রিল মাসে। এক ফরাসি সংবাদমাধ্যম তথ্য সহ দাবি করে, চুক্তিতে মধ্যস্থকারী একটি সংস্থাকে বড় অঙ্কের টাকা ‘উপহার’ দিয়েছে রাফাল নির্মাণকারী সংস্থা দাসো। এবং দাসোর অডিটে এই বেনিয়ম ধরা পড়েছিল বলে দাবি করেছিল ফরাসি সংবাদ মাধ্যম। তাদের দাবি অনুযায়ী, দাসোর কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিল অগস্টাওয়েস্টল্যান্ড চপার স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত সুশেন গুপ্তার সংস্থা। এরপর জুন মাসের ১৪ তারিখ একটি বেসরকারি সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্রান্সে শুরু হয় রাফাল চুক্তির তদন্ত। জুলাই মাসের ২ তারিখ এক বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় ফরাসি সরকার।
আরও পড়ুন:জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে মোদি সরকারকে টুইটে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
ফ্রান্স তদন্ত শুরু করতেই ময়দানে নামে কংগ্রেস। শনিবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, ‘রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে। দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছিলেন তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। রাফাল নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্রান্স এখন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তের আওতায় রয়েছেন ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্টও।’
শুধু তাই নয়, রাফাল কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলে তিনি জানান, ‘আদালত নয় গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত যৌথ সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে। তাহলেই প্রকাশ্যে আসবে কংগ্রেস আমলে যে চুক্তি হয়েছিল রাফাল বিমান কেনার জন্য হঠাৎ করে তার দাম কেন মোদি সরকারের আমলে বেড়ে গেল। দেশের স্বার্থেই জেপিসি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’ যদিও শাসক দল কোনরকম দুর্নীতির কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আদালতের বক্তব্য অনুযায়ী রাফাল চুক্তিতে কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি। তবে কংগ্রেস যে এত সহজে পিছু হটতে নারাজ তা স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিলেন রাহুল।