বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে “বাবাকে বলো” কর্মসূচি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের খোরাক

ফের ট্রোল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন ভাইরাল “বাবাকে বলো”! (Baba Ke Bolo) ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে এখন এটাই ট্রেন্ডিং। নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ককে দেখলেই বলা হবে “বাবাকে বলো”। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর (Sishir Adhikary) ছবি ও ফোন নম্বর দিয়ে “বাবাকে বলো” ছবি ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নেটিজেনদের হাতে হাতে। তাদের হাসির খোরাক এখন “বাবাকে বলো”!

কিন্তু কেন শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল “বাবাকে বলো”? ঘটনার সূত্রপাত কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে নিয়ে। বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতার পর মুকুল রায়ের “ঘর ওয়াপাসি” নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলবিরোধী তত্ত্ব সামনে এনে বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আদাজল খেয়ে মুকুলের পিছনের পড়েছেন শুভেন্দু। কেন মুকুল রায় পদত্যাগ করবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু।

আর তারই পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের দাবি, শিশিরবাবু তো তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন বিজেপির সঙ্গে শিশিরবাবুর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ না দিয়েই ভোটের সময় দল বিরোধী কাজ করেছেন। বিজেপির পক্ষে কথা বলেছেন। এমনকি, মঞ্চে উঠে ভাষণ দিয়েছেন। তাই শিশিরবাবুও সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করুন। এবং ছেলে হয়ে আগে বাবাকে পদত্যাগ করতে বলুক শুভেন্দু। অর্থাৎ, চ্যারিটি বিগিন্স এট হোম!

এ প্রসঙ্গে নৈহাটির তৃণমূলের বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, “আমাদের দল তৃণমূল লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে বিজেপির কাছে হেরে যায়। তারপর তৃণমূল একটি কর্মসূচি নিয়েছিল। সেই কর্মসূচি ছিল ‘দিদিকে বলো’। মানুষকে আমরা বলেছিলাম, কন্যাশ্রী না পেলে দিদিক বলো। রূপশ্রী না পেলে দিদিকে বলো। সবুজ সাথী না পেলে দিদিকে বলো, রেশন না পেলে দিদিকে বলো। তাই এখন আমরা শুভেন্দু অধিকারীকে বলছি, বাবাকে বলো। দলত্যাগ বিরোধী আইনের বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী তুমি বাবাকে বলো।’’

Previous articleস্ত্রীকে মেরে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর, খুনের কারণ জানলে চমকে উঠবেন
Next article২৬ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, স্নাতকে ভর্তি ২ আগস্ট, নির্দেশ ব্রাত্যর