সব জল্পনায় জল ঢেলে সৌরভ জানালেন, ‘রাজনীতিতে আমার কোনও ইন্টারেস্ট নেই

গত বিধানসভা ভোটের আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নামটিকে ঘিরে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। গেরুয়া শিবিরের কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছেন সৌরভ, এমন রটনাও হয়েছিল বাংলা জুড়ে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে সেসব জল্পনায় সেই সময়ই জল ঢেলে দিয়েছিলেন সৌরভ ঘনিষ্ঠ বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ নিজেও রাজনীতির প্রসঙ্গে কোনও মতামত দেননি। এমনকী মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও দেখা যায়নি তাঁকে। সেই সৌরভের বাড়িতে বৃহস্পতিবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদা ও দিদির এই সাক্ষাৎকার কী সবটাই রাজনীতি বর্জিত? নাকি রাজনীতির আঙিনায় নতুন ইনিংস শুরু করার জন্য তৈরি হচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন? এবার এই প্রশ্নই ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।
যদিও খোদ মহারাজ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ পুরোটাই সৌজন্যের। মুখ্যমন্ত্রীর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে দিদি।

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, না কোনওভাবেই আমার রাজনীতিতে যোগদানের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই। রাজ্যসভার সাংসদ সংক্রান্ত যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে সবকিছু ভুল। এরকম কোনও সম্ভাবনাই নেই।
সৌরভ বলেছেন, জন্মদিনে উনি বাড়িতে আসার পর পারিবারিক কথা আলোচনা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। উনি আমার ও পরিবারের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। আমিও মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছি। এই সময় অনেকেই ছিলেন। আমাদের মধ্যে রাজনীতির কোন কথা হয়নি।
টিম ইন্ডিয়ার মহারাজের সতীর্থ তথা বন্ধু সচিন রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। সৌরভের রাজনীতিতে না আসার কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে সৌরভের স্পষ্ট জবাব, “আমি অনেকদিন আগেও বলেছিলাম রাজনীতিতে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই। রাজনীতির জন্য আমি না।” সৌরভের এই সোজাসাপ্টা জবাবে সমস্ত জল্পনার অবসান।

 

Previous articleপুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির অভিযোগ, গ্রেফতার তিন
Next articleপুলিশের তৎপরতায় অপহরণের ৪ দিন পর বাড়ি ফিরল অপহৃত যুবক