অপহরণের ৪ দিন পর অপহৃত যুবককে একেবারে ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করল পুলিশ। অপহৃতের তরুণের বয়স ১৭। পেশায় ভুটভুটি চালক ওই তরুণকে রবিবার অপহরণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোল থানার আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ফনাকাটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত রবিবার এক ব্যক্তি আমের পেটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যে ওই তরুণকে ভুটভুটিটিকে ২০০ টাকায় ভাড়া নেয়। এরপর ইটাহার চেকপোস্ট এলাকায় যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি অপহৃতকে একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মাদক দ্রব্যের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে খাইয়ে অবচেতন করে রাখে বলে অভিযোগ করে অপহৃত ওই তরুণ।তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ওই তরুণের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা চিন্তায় পড়েন।এমনকি ফোন করলেও ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। সোমবার সারাদিন খোঁজাখুজির পর তরুণকে না পাওয়া গেলে তাঁর পরিবারের লোকেরা গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার অপহৃত ওই তরুণের জন্য ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। ওই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে গাজোল থানার পুলিশ। অপহৃত ওই তরুণের ফোন কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তরা বারংবার ফোন করে মুক্তিপণের দাবি জানাতে থাকে। পুলিশ সেই ফোনের সূত্র ধরেই বিভিন্ন স্থানের সন্ধান পায়। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করে সেই স্থানগুলি টার্গেট করে পুলিশ। পুলিশের কথামত অপহৃতের বাবা দুষ্কৃতীদের মুক্তিপণ দিতে রাজি হন এবং সেইমতো স্থান ঠিক করেন। সেটাকে কাজে লাগিয়ে গাজোল ও রতুয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে রতুয়া থানার অন্তর্গত এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত তরুণকে উদ্ধার করে। যদিও এখনও কোনও অভিযুক্তকে উদ্ধার করা যায়নি। এরপর অপহৃত ওই তরুণকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গাজোল থানায়। ওই তরুণের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠানো হয় জেলা আদালতে। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।