খাঁচায় বন্দি কৈশোর! সরকারি সাহায্যের আশায় অসহায় পরিবার

খাঁচায় বন্দি কৈশোর! সরকারি সাহায্যের আশায় অসহায় পরিবার
খাঁচায় বন্দি কৈশোর! সরকারি সাহায্যের আশায় অসহায় পরিবার

কাঠের খাঁচায় বন্দি জীবন। যে জীবন ছোটে না। দৌড়োয় না। খাঁচা বন্দি কৈশোর। কাঠের খাঁচাতেই বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরীর দিন কাটে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গাতে৷ বড় ছেলে কলেজে পড়ে। ১৬ বছরের মেয়ে বিশেষভাবে সক্ষম। তাই নিরুপায় পরিবার। সুযোগ পেলেই অন্যত্র চলে বাড়ি ছেড়ে। তাই এভাবেই কাঠের বাক্সে তাকে রেখেছে পরিবার। অর্থাভাবে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি।

মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর দিন কাটে কাঠের বাক্সের ঘেরাটোপে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে হতাশ দিনমজুর পরিবার। কিশোরীর মা সুচিত্রা বর্মন জানিয়েছেন, নিরুপায় হয়ে দিনের বেলা কাতরাতে কাতরাতে কাঠের ঘেরার মধ্যেই পড়ে থাকে মেয়ে। তিনি করুন কন্ঠে বলেন,  “টাকাপয়সার অভাবে  চিকিৎসা করাতে পারছিনা মেয়ের।” সরকারি সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সুচিত্রা বর্মন আরও জানিয়েছেন,”সরকারি কোনো সাহায্য বা কোনো সংস্থা থেকে সাহায্য মেলে তাহলে ঝিলিককে সুস্থ করে তুলতে সুবিধা হবে”

মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কাঠের বাক্সে বন্দি হয়ে চরম কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে মাথাভাঙ্গার বরাইবাড়ি এলাকার ১৬ বছরের ঝিলিক বর্মন। বিশেষভাবে সক্ষম শংসাপত্রে ৭৫ শতাংশ উল্লেখ থাকলেও মেলেনি সরকারি কোনো সাহায্য বলে অভিযোগ মা সুচিত্রা বর্মনের। সুচিত্রা বর্মন গৃহবধূ। বাবা শ্যামল বর্মনের দিনমজুরি করে কোনরকমে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। বড় ছেলে শিবু বর্মন (১৯) কলেজে পাঠরত।
ঝিলিকের মা সুচিত্রা বর্মন জানান জন্মের পর থেকেই তার মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। এরপর মেয়ে বেড়ে উঠতে থাকলে কথা বলা ও ঠিকমত হাঁটা চলা করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি জন্মের থেকেই হাত ও পা শীর্ণকায় কোমর বেকে গিয়েছে বর্তমানে। হাঁটা চলা করতে না পারায় বাড়িতেই একটি কাঠের ঘেরায় বন্দি হয়ে দিনকাটে।

আরও পড়ুন-পাকিস্তানে বাসের মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ৯ চিনা নাগরিকসহ মৃত অন্তত ১৩

ঝিলিকের মা ও বাবা জানান, নিজের হাতে খাবার খেতে পারে না ঝিলিক। সকাল হতেই বাবা অন্ন জোগাড়ের তাগিদে বেড়িয়ে যান মা নিজেই সবসময় দেখাশোনা করেন। পড়াশোনা নেই। মা সুচিত্রা বর্মন জানান, বিষয় সম্পত্তি কিছু বিক্রি করে কয়েক বছর আগ উদয়পুর, ব্যাঙ্গোলুরুতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলেও সুস্থ হয়ে ওঠেনি মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসকরা জানান, এর কোনো সুচিকিত্সা নেই। ফিরে এসে বর্তমানে বাড়িতেই অসহায়ভাবে দিন কাটছে ওই কিশোরীর। এমতাবস্থায় চরম সংকটের মধ্যে দিনযাপন করছে ওই পরিবার। কোনরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেয়ে চরম অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে এই পরিবার।

 

Previous articleফের ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ১৩৪ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স
Next articleতৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই প্রতিটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য ভবন