কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের ১৯২ বছরে পা

কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের ১৯২তম বর্ষ উদযাপন হল গত ১৩ জুলাই । ভারতে প্রথম স্কটিশ মিশনারি রেভারেন্ড ড. আলেক্সান্ডার ডাফ, রাজা রাম মোহন রায়ের সহায়তায় ১৮৩০ সালে এই মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় জেনারেল এসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন শুরু করেছিলেন । যা কালক্রমে স্কটিশ স্কুল ও কলেজ নামে বিশাল মহীরুহে পরিণত। এর সুদীর্ঘ ঐতিহ্য শত শত ছাত্রের বিরল কৃতিত্বে উজ্জ্বল ।
স্কুলের জন্মদিনে এর প্রাক্তনী সংসদ দ্য স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল এলুমনি এসোসিয়েশন এদিন স্কুল প্রাঙ্গনে ১২ তম বার্ষিক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল । স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, প্রাক্তনী ও স্কটিশ পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে কোভিড ১৯ প্রতিরোধে প্রথম ডোজের টিকাকরণ কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন ২৭ জন প্রাক্তনী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা রক্ত দান করেন। টিকা নেন ২৩৫ জন। এইদিনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কলকাতার মহামান্য বিশপ ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি দ্য রাইট রেভারেন্ড ড. পরিতোষ ক্যানিং তাঁর প্রার্থনা দিয়ে। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সম্পাদক রেভারেন্ড বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। প্রথম টিকাটি তাঁকেই দেওয়া হয়। এই উপলক্ষ্যে স্কুলের যে সমস্ত ছাত্র, শিক্ষাকর্মীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কোভিডের কারণে হারিয়েছেন তাঁদের হাতে প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ সাহায্য তুলে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সানিয়েল। এই পরিবারগুলির ছাত্রদের স্কুলে পড়াশোনার যাবতীয় খরচের ভার নেবে স্কুল, এই প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান শিক্ষক সানিয়েল।
স্কুলের প্রাক্তনীদের ১৯৭৬ সালের ব্যাচ থেকে একটি চেক তুলে দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে। এদিন প্রাক্তনী সংসদের সভাপতি ও প্রাক্তন শিক্ষক নিমাই চাঁদ দে সহ উপস্থিত অতিথিদের সংবর্ধিত করা হয়। সমগ্র আয়োজনটি সুষ্ঠ ভাবে পরিকল্পনা ও আয়োজন করায় সঞ্জয় সিংহ রায় ও তার ১৯৮৬ বন্ধুদের দল এবং প্রবীর কুমার পাল, সম্রাট পাল ও তার ১৯৯১ সালের বন্ধুরা এবং টিম এলুমনির সদস্যদের আন্তরিক অবদান ও দূরদূরান্তে ছড়িয়ে থাকা স্কুলের প্রাক্তনীদের সাহায্য বিশেষ করে উল্লেখ করেন সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দন কুমার পাল।

Previous articleফের দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত মণ্ডলের কনভয়, ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
Next articleঅর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলির বোর্ডের সদর দফতর কলকাতা থেকে সরানোর প্রতিবাদে তৃণমূল