NHRC-র একপেশে রিপোর্টের নেপথ্যে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সক্রিয় ভাজপা নেতা আতিফ রশিদ!

প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভাজপা নেতা আতিফ রশিদ

রাজ্য ভোট পরবর্তী  হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টে পেশ করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী,তৃণমূল বিধায়কর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে এই রিপোর্ট যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তৃণমূল নেতাদের অভিযোগের স্বপক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ হাতের কাছেই আছে। এই রিপোর্টকে একতরফা বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

মানবাধিকার কমিশনের নামে এটা আসলে ভজপা বাঁচাও রিপোর্ট। তৃণমূল নেতারা বলেছেন, ভোটে হার মেনে নিতে না পেরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে এভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছে বিজেপি।
মোদি সরকারের আমলে দেশে উন্নয়ন অথবা কর্মসংস্থান নিয়ে প্রতিনিয়ত কাঁটাছেঁড়া করছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই অভিযোগের সত্যতা প্রকাশে সামনে এল প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভাজপা নেতা আতিফ রশিদের ছবি।

মনে হতেই পারে কে এই আতিফ রশিদ!

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সক্রিয় ভাজপা নেতা আতিফ রশিদ। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে রিপোর্ট পেশ করার। স্বাভাবিক ভাবেই দলীয় বদান্যতা স্বরূপ সেই কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। রিপোর্টে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা,মন্ত্রী, বিধায়কের নাম।

এখন স্পষ্ট যে দেশের যাবতীয় সাংবিধানিক স্ব-শাসিত পদ, যেমন রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর শীর্ষে জায়গা দেওয়া হয়েছে সক্রিয় ভাজপা নেতা অথবা ভাজপা ঘনিষ্ঠদের। মূলত ভাজপা নেতাদের মানবাধিকার কমিশন এবং সংখ্যালঘু কমিশনের মাথায় বসিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করে সর্বভারতীয় স্তরে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রমাণ করাটাই পাখির চোখ করেছে কেন্দ্রের ভাজপা সরকার।

একটু বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। দেশের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির কর্মপদ্ধতি এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য ভারতীয় সংবিধানে যে কয়টি সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও পদ রয়েছে, গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে তার প্রতিটির শীর্ষে বসানো হয়েছে ভাজপা নেতাদের অথবা তাদের অঙ্গুলিহেলনে উঠবস করতে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের। বাস্তবে দেশের সাংবিধানিক পদ ও প্রতিষ্ঠানগুলি এখন ভাজপার পার্টি অফিস।

আরও পড়ুন- দলত্যাগ করেও সাংসদ পদে ইস্তফা নয় কেন? শিশির-সুনীলকে স্পিকারের জবাব তলব চিঠি

 

Previous articleকরোনার কোপে বন্ধ তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা, নিষেধাজ্ঞা বাঁকযাত্রাতেও
Next articleবঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বোলপুরে  প্রতিবাদে সরব  ‘বাংলা পক্ষ’