মনুয়াকাণ্ডের ছায়া বনগাঁয়, পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী

বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া বনগাঁয়। প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠলের মহিলার বিরুদ্ধে। বনগাঁর গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি শিকারিপারা এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় প্রফুল্ল মিস্ত্রির মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার মৃতের স্ত্রী অভিযুক্ত আলপনা সর্দারকে নহাটা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে আলপনার প্রেমিক মধু হালদারকেও।
গোয়ালঘরে পড়ে ছিলেন প্রৌঢ়। রক্তে ভাসছিল গোটা শরীর। ৬০ বছরের স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বিষ খাইয়ে ও মাথায় আঘাত করে খুনের অভিযোগ। গতকাল ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্ত্রী।
গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি শিকারিপারা এলাকার ঘটনা৷ অভিযুক্ত স্ত্রী আল্পনা সর্দার ও তাঁর প্রেমিক মধু হালদার।

মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে থেকে প্রফুল্ল মিস্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ ঘটনার পর থেকে থেকে পলাতক ছিল অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গোপালনগর থানার নহাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত প্রফুল্লর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রফুল্ল দ্বিতীয় স্ত্রী আল্পনা। অভিযোগ আলপনার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মধু হালদারের৷ প্রফুল্ল তাঁর প্রতিবাদ করত। পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে আল্পনা ও মধু প্রফুল্লকে খুন করেছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এরকম চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা দেখে এলাকাবাসীরাও স্তম্ভিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রফুল্লর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, সেই স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে আলপনার সঙ্গে থাকতেন তিনি। আলপনাকে তিনি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে আলপনার ঘরে প্রতিবেশী মধুর যাতায়াত লেগেই থাকত। সময় পেলেই আলপনার সঙ্গে এসে গল্প করত সে। যা মোটেই পছন্দ করতেন না প্রফুল্ল। এনিয়ে একাধিকবার আলপনার সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু , তারপরও মধুর আসা যাওয়া বন্ধ হয়নি। এভাবেই মধুর সঙ্গে আলপনার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। তদন্তকারীদের অনুমান প্রফুল্ল আপত্তি করাতেই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে আলপনা ও মধু।

Previous articleরাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার?
Next article‘নিরুদ্দেশ’ বিধায়ককে খুঁজে দিলেই ‘ফ্রিতে সেলফি’‌, হিরণ নিখোঁজে খড়গপুরে পোস্টার