ফের আড়িপাতা হচ্ছিল রাজনীতিকদের ফোনে! রিপোর্ট সামনে আসছে বিকেলেই

ফের আড়িপাতা হচ্ছিল রাজনীতিকদের ফোনে! রিপোর্ট সামনে আসছে বিকেলেই

ফের ইজরায়েলের তৈরি সফটওয়্যার স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতা হচ্ছিল রাজনীতিকদের ফোনে! বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী একটি ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন। দিল্লির দিকে একটু নজর দিলে দেখা যাচ্ছে ওই তালিকায় নাম রয়েছে এক তৃণমূল সাংসদেরও।

ট্যুইট করে সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী লিখেছেন, “ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ বিকেলে ওয়াশিংটন পোস্ট এবং লন্ডন গার্ডিয়ান-একটি রিপোর্ট সামনে আনতে পারে। ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাস ব্যবহার করে মোদির ক্যাবিনেটের মন্ত্রী, আরএসএস-এর নেতা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বহু সাংবাদিকের ফোনে কীভাবে আড়িপাতা হয়েছিল তা তুলে ধরতে পারে এই রিপোর্ট। এ বিষয় আমি নিশ্চিত হলে তালিকাটি প্রকাশ করব।”

এখানেই থামেননি রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ। এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে সুব্রাহ্মণ্যম বলেছেন, নাম থাকতে পারে দেশের শাসকদলেরই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদেরও। এর পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও। লিখেছেন, “বহু বিরোধী নেতারা ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে।” এছাড়াও পি চিদাম্বরমের ছেলে কার্তি চিদাম্বরম ট্যুইট করে লিখেছেন, “পেগাসাস এবার বিস্ফোরক হতে পারে।”

আরও পড়ুন-জালিয়াতি করেছেন নীতীশ কুমার! থানায় অভিযোগ আইএএস অফিসারের

ঠিক ১৮ মাস আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ১২১ জন ভারতীয়র ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। ব্যবহার করা হয়েছিল ইজরায়েলের তৈরি সফটওয়্যার স্পাইওয়্যার পেগাসাস। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ এই তথ্য সামনে আনার পর রীতিমতো ঝড় বয়ে গিয়েছিল। ফলে এবার এই রিপোর্ট প্রকাশ হলে সংসদে ঝড় উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের অক্টোবরের এই ঘটনা সামনে আসার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, “ইজরায়েলি সংস্থাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। গোপন তথ্য পাওয়ার জন্য আড়ি পাতা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেছিলেন, “রাজনীতিক, বিচারপতি, সাংবাদিকদের উপর নজর! আগে ল্যান্ড ফোন, মোবাইলে নজরদারি হত, এখন হোয়াটসঅ্যাপও নিরাপদ নয়। আমার ফোনে আড়ি পাতা হয়।” তবে এটুকু স্পষ্ট তালিকায় এবার তৃণমূলের সাংসদের নাম থাকলে তৃণমূলনেত্রী এবং তাঁর দল ছেড়ে কথা বলবে না।

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর দিল্লির কর্মসূচিতে সামান্য পরিবর্তন
Next articleরাতে বেরোনোর বিধি ভেঙে ধৃত ১০, কলকাতা জুড়ে নজরদারি