২১ জুলাইয়ের রাতেই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

একুশে জুলাইয়ের রাতে খুন তৃণমূল কর্মী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিরাটির বণিক মোড়ে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শুভ্রজিত দত্ত ওরফে পিকুন, বয়স ৩৮। গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে বলে অভিযোগে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় শুভ্রজিত দত্ত নামের ওই তৃণমূল কর্মী উত্তর দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎই বাইকে করে একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। মাথা ও বুক লক্ষ্য করে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ দত্ত। এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়েই সেখানে যায় নিমতা থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ব্যারাকপুর ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনীও। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে স্থানীয়  উত্তর দমদম পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর  গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকার দুষ্কৃতী বাবুলাল সিংয়ের নাম উঠে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন দুপুরে বাবুলাল সিংকে মারধর করে কয়েকজন। এতে বাবুলালের মাথায় আঘাত লাগে। সেই সময় নিমতা থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর সেই রাতেই গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনার সঙ্গে দুপুরের ঘটনার কোন যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাজনৈতিক সংঘর্ষ নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারও হাত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধান বিশ্বাসের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Previous articleভোট-হিংসা: কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আজ হাইকোর্টে সওয়াল করবে রাজ্য
Next articleসকালেই পাঠকদের হাতে ‘জাগো বাংলা’