বিরাটিতে তৃণমূলকর্মীর খুনে সুপারি কিলার: প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের

শহিদ দিবসের রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন বারাকপুর (Barackpur) পুলিশ কমিশনার। যেভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে তৃণমূল (Tmc) কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত (Shubhrajit Datta) ওরফে পিকুনকে খুন করা হয়েছে তাতে এর পিছনে সুপারি কিলারদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিমতা থানার বিরাটির (Birati) বণিক মোড়ে। এই হামলার পিছনে বিজেপির (Bjp) মদত রয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান বারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি বলেন, “এই খুনের ঘটনায় কিছু তথ্য এসেছে আমাদের হাতে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ২ জনকে আটকে করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে”। অন্যদিকে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের তরফে বাবুলাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছ।

 

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুনের ধরণ, নিশানা এবং খুনের পর শান্ত মাথায় এলাকে ছেড়ে বেরনো দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পেশাদার খুনিদের কাজে লাগিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক ছক কষেই এই খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় যান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ঘটনার পর থেকে বিরোধীরা তৃণমূলের গোষ্টদ্বন্দ্বের যে অভিযোগ করছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী নেই। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু একুশের নির্বাচনে প্রায় আঠাশ হাজার ভোটে জিতে তিনি ফের বিধায়ক হন। দলে যদি কোনও গোষ্ঠী থাকতো তাহলে তা সম্ভব হত না বলেই জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, “এখানে আমাদের প্রতিটি কর্মী এক হয়ে কাজ করেন তাই আমরা এই সাফল্য পেয়েছি”। ঘটনার পর যে বাবুলালের নাম উঠে এসেছে তাকে নিয়ে তিনি বলেন, এই বাবুলালকে সবাই সিপিএমের আমল থেকে দুষ্কৃতী হিসেবেই চেনে। গোটা ঘটনার জন্য দূষ্কৃতীরাই দায়ী, আর তাদের পিছনে রয়েছে বিজেপির মদত।

 

 

 

 

Previous article১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস কেন? ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleপেগাসাস কাণ্ড নিয়ে মোদি-শাহর জবাবের দাবিতে সংসদে সোচ্চার তৃণমূল!