বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার বাবুলাল ঘনিষ্ঠ যুবক

বিরাটিতে (Birati) তৃণমূল (TMC) কর্মী শুভ্রজিৎ দত্তকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক যুবক। ধৃতের নাম দিবাকর। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে নিমতা (Nimta) এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, জেরার সময় ধৃত দিবাকরের বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। দিবাকর মূল অভিযুক্ত বাবুলাল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বিরাটির বণিক মোড়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দিবাকরকে চিহ্নিত করে নিমতা থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, একুশে জুলাই রাতে তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্তকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি। তৃণমূলের শুরু থেকেই অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই
শুভ্রজিৎ-খুন করেছে। তারপর থেকেই এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রনে বলেই জানা গিয়েছে।

এই ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। মূল অভিযুক্ত বাবুলাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাবুলালকে সবাই সিপিএমের আমল থেকে দুষ্কৃতী হিসেবেই চেনে। গোটা ঘটনার জন্য দুষ্কৃতীরাই দায়ী, আর তাদের পিছনে রয়েছে বিজেপির মদত। এই বাবুলালের সঙ্গে আবার এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিংকে। ফলে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় বিজেপি যোগ আরও স্পষ্ট বলেই দাবি করেছেন শাসক দলের নেতারা।

সূত্রের খবর, ঘটনার সময় শুভ্রজিত দত্ত নামে ওই তৃণমূল কর্মী উত্তর দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎই বাইকে চড়ে একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথা ও বুক লক্ষ্য করে চার থেকে পাঁচটি গুলি চালায়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ। ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়েই সেখানে যায় নিমতা থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ব্যারাকপুর ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনীও। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

 

Previous articleভবানীপুরে গ্রেফতার ভুয়ো ফুড ইন্সপেক্টর
Next articleমদ্যপান ও অশালীন মন্তব্যের জেরে যুবকের মৃত্যু, আহত ৩