শান্তনু সাসপেন্ড হলে ‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’ গ্রেফতার নয় কেন? টুইটে সরব কুণাল

এবারের বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেনকে। এই ইঙ্গিত বৃহস্পতিবারই মিলেছিল। ঠিক সেই পথেই গেল গেরুয়া শিবির। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের (Tmc) সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নাম না করে ‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’কে গ্রেফতারের দাবি জানালেন কুণাল।

টুইটে কুণাল লেখেন, “পেগাসাস কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ করে রাজ্যসভায় অপমানিত, লাঞ্ছিত, সাসপেন্ডেড সাংসদ শান্তনু সেন। আর অন্যের কল লিস্ট, কল রেকর্ডিং তাঁর কাছে আছে বলে প্রকাশ্যে আড়ি পাতা স্বীকার করেও LOP (limitless opportunist) গ্রেপ্তার নয় কেন? শান্তনুকে সাসপেন্ড করে প্রতিবাদের কন্ঠরোধ করা যাবে না।”

আরও পড়ুন-হাই মাদ্রাসার ফল প্রকাশ, পাশের হার একশো শতাংশ

‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’ বলতে কুণাল কাকে বুঝিয়েছেন সেটা এখন সকলেরই জানা। এর আগেও বিভিন্ন টুইটে তিনি এই শব্দবন্ধে তাঁকে বিদ্ধ করেছেন। প্রকাশ্য জনসভায় সেই ব্যক্তি স্বীকারও করেছিলেন যে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) অফিসের ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল এবং তার রেকর্ডিং তাঁর কাছে আছে। কুণাল প্রশ্ন তোলেন, শান্তনু সেনকে যদি সাসপেন্ড করা হয় তাহলে ‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’কে গ্রেফতার করা হবে না কেন?

পেগাসাস ফোন-আড়ি পাতাকাণ্ড নিয়ে সরব ছিলেন শান্তনু। করছিলেন প্রশ্নও। এরপরই অভিযোগ ওঠে, এই সময় বিজেপি বেঞ্চের তরফ থেকে থাকে অসংসদীয় কথা বলা হয়। শান্তনু এগিয়ে গিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতেই বিতর্কের সুযোগ নেয় বিজেপি।

মন্ত্রীর সঙ্গে শান্তনুর ঘটনাকে ঘিরে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার সেটিই কার্যকর হল। তৃণমূল বলেছে এইভাবে প্রতিবাদ দমন করা যাবে না।

 

Previous articleহাই মাদ্রাসার ফল প্রকাশ, পাশের হার একশো শতাংশ
Next articleআগামিকাল আইসিএসি, আইএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ