ফেসবুকে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় রবিবারের দলীয় বৈঠকে দিলীপ ঘোষের সামনে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তিনি দলবিরোধী কথা বলেছিলেন তা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন তিনি। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি একই সঙ্গে আগস্ট মাস থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন সৌমিত্র। সৌমিত্র খাঁয়ের এই কার্যকলাপকে ‘সার্কাস’ বলে কটাক্ষ কুণালের।

বারবার যুব মোর্চার প্রধান ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে অস্বস্তি পড়েছে দল। রবিবার দলীয় বৈঠকে নিজের কার্যকলাপের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন যুব মোর্চার সভাপতি। এদিনের বৈঠকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও সংবাদমাধ্যমে নানা বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন বিজেপি নেতা। তাঁকে নিয়ে দলের ভিতর একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। গেরুয়া শিবির সুত্রে জানা যাচ্ছে, নিজের অস্তিত্ত্ব বাঁচাতে আপাতত ক্ষমা চাওয়ার রাস্তাতেই হাঁটতে হল সৌমিত্রকে। এমনকি যে দিলীপ ঘোষ নাকি কিছু জানেন না বা বোঝেন না বলে কদিন আগেই দাবি করেছিলেন, চাপে পড়ে এবার তাঁর সানমেই ক্ষমা চাইতে হল সাংসদকে। তাঁর আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি শুভেন্দুও। তবে গদি বাঁচাতে এবার দুঃখপ্রকাশ করলেন তিনি। দলের সংখ্যালঘু অংশই তাঁকে নিয়ে বিরক্ত। ফলে তাঁর আগস্ট বিপ্লবে দলীয় কর্মীরা কতজন সাড়া দেবেন তাও আপাতত প্রশ্নের মুখে।
তৃণমূল শিবির অবশ্য সৌমিত্রর ক্ষমা থেকে বিপ্লব, কোনওটা নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছে না। সৌমিত্রর এই ‘ডিগবাজি’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ সার্কাস’। তৃণমূল বলছে বলছে, কদিন আগেই বাংলাজুড়ে যে মে বিপ্লব হয়ে গিয়েছে তাতেই কার্যত বেসামাল গেরুয়া শিবির। বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা যাই করুন না কেন, মানুষের আর তাদের নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই।

আরও পড়ুন- ডায়মন্ডহারবারে চুরি করে ভ্যাকসিন পাচার হয়েছে সোনারপুরের বেআইনি ক্যাম্পে, তাজ্জব তদন্তকারীরা
